দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার চলতি অর্থবর্ষে কমে দাঁড়াবে ৬.৫ শতাংশে। বাজেটের আগের দিন বাজেট অধিবেশন শুরুর পর অর্থমন্ত্রীর আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে এমনই উল্লেখ পাওয়া গেল। যা গত অর্থবর্ষে ছিল ৭.৬ শতাংশ। সেই নিরিখে চলতি অর্থবর্ষে জিডিপির হার অনেকটাই কমতে চলেছে। বিশেষজ্ঞেরা এজন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকেই। যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দাবি, চলতি অর্থবর্ষে কম হলেও আগামী অর্থবর্ষে এই বৃদ্ধির হার ফের ৭.৫ শতাংশে পৌঁছবে। তবে তার জন্য অনেক বেশি আর্থিক সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এদিন সমীক্ষা রিপোর্টে ফের দাবি করা হয়েছে, নোট বাতিলের জেরে সাময়িক অসুবিধা হলেও আগামী দিনে এর সুফল ভোগ করবে ভারতীয় অর্থনীতি। পাশাপাশি জিএসটির সুফলও ভবিষ্যতের গর্ভে ছেড়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এখানেও শুরুতে এর সুফল প্রকাশ পাবেনা বলে স্বীকার করে নিয়ে অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন সেই সুফলও মানুষ বুঝতে পারবেন একটা সময়ের পর। তবে তা ঠিক কতদিন তা সমীক্ষায় উল্লেখ নেই। এদিকে চলতি অর্থবর্ষে কৃষিতে বৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেলেও শিল্প ক্ষেত্রে তার ঠিক উল্টোটাই হবে বলে সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে জ্বালানি তেলের দাম কম থাকায় অর্থনীতির লাভই হয়েছে বলে সমীক্ষায় জানান হয়েছে।