নিভে গেল অরুণ আলো, অন্ধকারে ডুবল রাঙামাটির দেশ
লাল পাহাড়ির দেশে বড় অন্ধকার। অন্ধকারে ডুবে গেছে রাঙামাটির দেশও। অরুণ আলো নিভে গেলে হয়তো এমনটাই হয়। আশিতে আসিলেন তবে পেরলেন না।
‘লাল পাহাড়ির দেশে যা, রাঙা মাটির দেশে যা, হেথায় তোকে মানাইছেনা রে’। এ গান বাঙালির জীবনের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। বঙ্গ জীবনের সঙ্গে যে কটি গান বড় একাত্ম হয়ে আছে তার একটি অবশ্যই এই গান।
যিনি গান গাইতে পারেন, বা যিনি পারেননা, সকলে নির্বিশেষে গুনগুন করে ফেলেন এই শব্দগুলো। বসে যায় এক মাটির গন্ধে মেশা সুর। এ গান অবশ্য গান পরে। আগে সেটি একটি কবিতা।
এক অসামান্য কবিতা। যা এক কবিকে চিরদিনের করে রেখে দেবে বাঙালির হৃদয়ে। সেই লাল পাহাড়ির স্রষ্টা কবি অরুণ কুমার চক্রবর্তী চলে গেলেন। হয়তো চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেলেন সেই লাল পাহাড়ির দেশে। তাঁর ভালবাসার প্রকৃতির মাঝে।
৮০ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন বাংলার এই কবি। নিজ বাসভবনেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর জীবনাবসান হয়। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার অরুণ চক্রবর্তীর নেশা ছিল বাংলার লোকসংস্কৃতি চর্চা। বাংলাকে চিনতে, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের ভিন্ন সংস্কৃতিকে চিনতে তিনি রাজ্যের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়াতেন। সেখানকার মানুষের বহমান জীবন, তাঁদের সংস্কৃতি, জীবন দর্শন নিয়ে চর্চা করতেন।
চুঁচুড়ার বাসিন্দা অরুণ চক্রবর্তী সকলের খুব ভালবাসার মানুষ ছিলেন। ছোটদের কাছেও তিনি ছিলেন বিশেষ জনপ্রিয়। ছোটদের জন্য সব সময় সঙ্গে রাখতেন চকোলেট।
মাঝে মাঝে সান্টাক্লজ সেজেও ঘুরে বেড়াতেন ছোটদের আনন্দ দিতে। তাঁর লাল পাহাড়ির দেশে যা গানটি বাংলা সঙ্গীত জগতের এক মাইলফলক সঙ্গীত হয়ে থেকে যাবে চিরকাল।