
১৯৭৩ সালে অরুণা রামচন্দ্র শানবাগ নামে এক নার্স কেইএম হাসপাতালে পোশাক পরিবর্তনের সময়ে এক ওয়ার্ড বয়ের লালসার শিকার হন। তাঁর গলায় কুকুরের গলায় বাঁধার বেল্ট বেঁধে তাঁর ওপর পাশবিক অত্যাচার হয়। এতে তাঁর যে শারীরিক ক্ষতি হয় তাতে তিনি কোমায় চলে যান। কর্ণাটক থেকে মুম্বইতে কাজ করতে আসা অরুণাকে তাঁর সহকর্মীরা বাঁচিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁকে রাখা হয় ওই হাসপাতালেরই ৪ নম্বর বেডে। তাঁর সেবা করতেন তাঁরই সহকর্মীরা। এতটাই ভাল ছিল সেই যত্ন যে কোনও দিন অরুণার শরীরে বেডসোর হয়নি।
এই অবস্থায় বছরের পর বছর কেটে যায়। নিঃসাড় অবস্থায় বেডে পড়েছিলেন অরুণা। ২০০৯ সালে এক সমাজকর্মী আদালতের কাছে অরুণার স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানান। প্রতিবাদ করেন এতদিন ধরে অরুণার যত্ন করে আসা তাঁর সহকর্মীরা। আদালতে নাকচ হয়ে যায় সেই আবেদন। ২০১৫ সালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় অরুণার। ৪২ বছর কোমায় পড়ে থাকার পর সেই মৃত্যু কিন্তু স্বেচ্ছামৃত্যুর প্রসঙ্গকে উস্কে দিয়েছিল। তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। শুক্রবারের সুপ্রিম রায় সেই ঘটনার হাত ধরে একটা রূপ পেল বলে মনে করছেন অনেকে।