গত রবিবার থেকে সিএএ বিরোধী ও সিএএ সমর্থনকারী ২ গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে জ্বলছে দিল্লি। যা গত ৩ দিনে সবচেয়ে ভয়ংকর চেহারা নেয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আর কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। তবে দিল্লি থমথম করছে। সুনসান রাস্তাঘাট। দোকানপাট প্রায় খোলেনি বললেই চলে। একটা আতঙ্ক যেন পেয়ে বসেছে দিল্লিকে। দিল্লি জুড়ে এখন আধাসামরিক বাহিনী, পুলিশ। কড়া নজরদারি রয়েছে। দিল্লি কিছুটা শান্ত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এদিন দিল্লি হিংসায় প্রভাবিতদের জন্য একগুচ্ছ ঘোষণা করেছেন। মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন তিনি। গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ। যাঁদের দোকানপাট পুড়ে গেছে। কিন্তু সেসব দোকানের বীমা করানো নেই, তাঁদের এককালীন ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে দিল্লি সরকার। যাঁদের বাড়ি জ্বলে গেছে তাঁদের ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়া অস্থায়ী শিবিরও থাকার জন্য তাঁদের দেওয়া হবে।
বাড়ি যাঁদের জ্বলে গেছে তাঁরা প্রাণ নিয়ে পালিয়েছেন। ফলে সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে পারেননি। তাঁরা যাতে সব কাগজ ঠিকঠাক পেয়ে যান সেজন্য বিশেষ ক্যাম্প তৈরি করছে দিল্লি সরকার। এছাড়া যাঁদের দোকান বা বাহনের বীমা করানো রয়েছে, তাঁরা যাতে বীমা সংস্থা থেকে দ্রুত টাকা পেয়ে যান সেজন্য সরকার বীমা সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলে বিশেষ বন্দোবস্ত করছে বলেও জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা