তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হত আগামী বছরের মে মাসে। কিন্তু তার ১ বছর আগেই নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম। তিনি জানান, এটা ছিল তাঁর সেরা চাকরি। তবে আগামী দিনে তিনি গবেষণা, লেখালিখি নিয়ে থাকতে চান। কিন্তু কেন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
প্রশ্ন যে উঠবে তা হয়তো আঁচ করেছিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও। তাই অরবিন্দের ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়ানো নিয়ে জেটলি জানিয়েছেন, অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম তাঁকে জানান তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে চান। কিছু পারিবারিক প্রয়োজনের কথা জানিয়েছেন। যেসব কারণ দেখিয়েছেন তারপর তাঁকে আর না করা যেতনা।
অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যমও এদিন অরুণ জেটলি সম্বন্ধে ভূয়সী প্রশংসা করেন। কিন্তু তারপরও রাজনৈতিক মহলের একাংশ রঘুরাম রাজনের ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদ ছাড়ার উদাহরণ টেনে আনছেন। তবে কী অন্য কোনও কারণ? সংঘাত? তেমন কোনও ইঙ্গিত কিন্তু অর্থমন্ত্রী বা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যমের গলায় শোনা যায়নি। তবু ২০১৯-এর আগে এভাবে অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যমের কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টার পদ ছাড়ার পিছনে অন্য কারণ আছে বলেই সন্দেহ রাজনৈতিক মহলের একাংশের।