রাবণের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দেশ
চলে গেলেন রাবণ। দুর্গাপুজোর মুখেই চলে গেলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবরে দেশের অনেকেই শোকস্তব্ধ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
চলে গেলেন রাবণ। পর্দার সেই রাগী, ক্রুর, ভয়ংকর মানুষটিকে দেখে সেদিন যতটাই রাগত হয়েছিলেন দেশবাসী, এখন তাঁর মৃত্যুতে ততটাই শোকস্তব্ধ তাঁরা।
১৯৮৬ সালে সারা দেশে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল রামানন্দ সাগরের রামায়ণ। সিরিয়ালে রাবণের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন গুজরাট নাট্য জগতের প্রথমসারির অভিনেতা অরবিন্দ ত্রিবেদী।
সেই বিশাল চেহারার পর্দার রাবণ এদিন চলে গেলেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। অবশেষে তাঁর মৃত্যু হল। অরবিন্দ ত্রিবেদীর ছেলেও গুজরাটের নাট্য জগতের মানুষ। তিনিই বাবার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
রামায়ণ সিরিয়ালে রাবণের মত এক অন্যতম প্রধান চরিত্র করে সারা দেশে খ্যাতি ছড়ায় অরবিন্দ ত্রিবেদীর। এখনও তাঁকে সকলে মনে রেখেছেন ওই চরিত্রে অভিনয়ের জন্যই।
তবে অরবিন্দ ত্রিবেদীর আরও পরিচয় রয়েছে। একাধারে তিনি নাটক ও সিনেমার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অনেক নাটকে তাঁর বলিষ্ঠ অভিনয় সকলকে মুগ্ধ করেছে। সিনেমার পর্দাতেও তিনি ছিলেন সমান স্বচ্ছন্দ।
এছাড়া ১৯৯১ সালে গুজরাটের সবরকান্থা লোকসভা কেন্দ্র থেকে অরবিন্দ ত্রিবেদী বিজেপি প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়ে জয়লাভ করেন। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি সাংসদ পদে ছিলেন।
২০০২ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত সিবিএফসি-র চেয়ারম্যানও ছিলেন অরবিন্দ ত্রিবেদী। তাঁর প্রয়াণের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ১৯৮৬ সালে রামায়ণ সিরিয়ালে তাঁর সহ অভিনেতারা তো বটেই এমনকি গুজরাট সিনেমা ও নাট্য জগতের সকলেই প্রায় শোক প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাঁর মৃত্যুতে শোক ব্যক্ত করেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা