গানের দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের মাঝেই ঘটে ঘটনাটা, তারপর সব অন্ধকার
সেই দিনটার কথা তিনি আজও ভুলতে পারেননি। তখন তিনি বলিউডের অন্যতম সেরা নায়িকা। সেইসময় একটি গানের দৃশ্যের শ্যুটিংয়ে ঘটে ঘটনাটা।
তিনি বলিউডের অন্যতম সেরা সুন্দরী নায়িকা। একের পর এক হিট সিনেমায় তিনি দর্শকদের মন জয় করে নিতেন। তিনিই এবার সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন সেদিনের সেই স্মৃতি।
সময়টা ৬০-এর দশক। সে সময় ২টি সিনেমার শ্যুটিং একসঙ্গে করছিলেন তিনি। একটি ‘তিসরি মঞ্জিল’ এবং অন্যটি ‘বাহারোঁ কে স্বপ্নে’। সকালে তিনি তিসরি মঞ্জিলের শ্যুটিং করতেন। আর রাতে করতেন ‘বাহারোঁ কে স্বপ্নে’-র শ্যুটিং।
এই বাহারোঁ কে স্বপ্নে সিনেমাটি ছিল সাদাকালো সিনেমা। তাতে একটি গান ছিল ‘কেয়া জানু সাজন’। সেই গানটির জন্য একটি বিশাল সেট তৈরি করা হয়েছিল। যা তৈরি করতে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয়েছিল।
এদিকে সারাদিন ধরে শ্যুটিং করতে গিয়ে তিনি তখন টাইফয়েডে আক্রান্ত হন আশা। শরীর সঙ্গ দিচ্ছিল না। তবু শ্যুটিং থামাননি তিনি। রাত তখন ১টা। ‘কেয়া জানু সাজন’ গানের শ্যুটিং চলছে পুরোদমে।
শ্যুটিং চলাকালীনই আচমকা ঘটে ঘটনাটা। সেটের মধ্যেই লুটিয়ে পড়েন আশা পারেখ। চোখের সামনে সব অন্ধকার হয়ে যায়। নায়িকা এভাবে লুটিয়ে পড়তেই সকলে ছুটে আসেন।
শ্যুটিং মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যায়। আশা পারেখকে নিয়ে ছোটা হয় চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসক সব পরীক্ষা করে তাঁকে ১৫-২০ দিনের জন্য একদম বিছানা ছাড়তে মানা করে দেন। ফলে শ্যুটিং অনেকটাই ধাক্কা খায়।
অজ্ঞান হওয়ার আগে গানের প্রথমাংশের শ্যুটিং হয়েছিল। তারপর আশা সুস্থ হয়ে ফেরার পর বাকি অংশটা সম্পূর্ণ করা হয়। এখন ৮০ বছর বয়সেও আশা পারেখ সেদিনের সেই ঘটনার কথা ভুলতে পারেননি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা