ভারতের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত পাকিস্তান ক্রিকেট দল। দুবাইতে ৮ উইকেটে ভারতের কাছে হারতে হল তাদের। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব বিভাগেই মুখ থুবড়ে পড়ল সরফরাজের ছেলেরা। ভারত এদিন এমন জয় পেয়েছে যা আজ পর্যন্ত ভারত-পাক ওয়ান ডে-তে পায়নি। ৮ উইকেটে পাকিস্তানকে হারানোর রেকর্ড এই নিয়ে ৪ বার করল ভারত। কিন্তু ১২৬ বল বাকি থাকতেই জয় এই প্রথম হল। সে অর্থে এই ম্যাচ ভারতের জন্য সোনালি দিন হয়ে রইল। সেইসঙ্গে ১৫ মাস আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের মধুর প্রতিশোধ নিল মেন ইন ব্লু। পাকিস্তানকে গোহারান হারিয়ে ভারত ফের দেখিয়ে দিল, যে যাই বলুক ধারে ভারে ভারতই সেরা।
চাপের ম্যাচে ভারতীয় খেলোয়াড়দের খেলা বদলে যায়। যে দলটা আগের দিনই হংকংয়ের বিরুদ্ধে কোনওক্রমে জিতেছে সেই দলটাই এদিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অন্য রূপ দেখাল। চাপে ছিল ভারত। কারণ বাইরের ক্রিকেট বোদ্ধারা তো বটেই এমনকি ভারতের গাভাস্কার সহ অন্য তারকারাও বলছিলেন পাকিস্তান এদিন ফেভারিট। ফলে দেখিয়ে দেওয়ার একটা তাগিদ হয়তো ছিলই। কিন্তু মুখে বলে কোনও উত্তর হয়না। তাই সকলকে জবাবটা মাঠেই দিয়ে দিল রোহিত শর্মারা।
এদিন পাকিস্তানের একমাত্র প্রাপ্তি টস জেতা। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্তও ভুল ছিলনা। কিন্তু শুরুতেই পাকিস্তানের ২ ওপেনারকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে ভুবনেশ্বর কুমার ম্যাচের চেহারাই বদলে দেন। এরপর বাবর আজম ও শোয়েব মালিক জুটি কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করলেও ২ জনেই ফেরেন ৪০-এর ঘরে রান নিয়ে। এরপর আর কেউই দাঁড়াতে পারেনি। খোদ পাক অধিনায়ক মণীশ পাণ্ডের দুরন্ত ক্যাচে মাত্র ৬ রান করে প্যাভিলিয়নমুখো হন। ভারতীয় বোলিং আক্রমণের মুখে একের পর এক মাঠে নেমেছেন পাক ক্রিকেটাররা। আর আউট হয়ে ফিরেছেন। তাও ভারত ক্যাচ মিস করেছে। হাতের ক্যাচ ফেলে দিয়েছেন চাহল। তারপরও পাকিস্তান ৪৩ দশমিক ১ ওভার খেলে সব উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬২ রান।
ভারতের জন্য এই রান তোলা কোনও কঠিন কাজ ছিলনা। আর তা আরও সহজ হয়ে যায় যখন ওপেনিং পার্টনারশিপই তুলে দেয় ৮৬ রান। রোহিত শর্মা ৩টি ছক্কা হাঁকান। ৬টি চার মারেন। করেন ৫২ রান। তাও মাত্র ৩৯ বলে। যাকে বলে একেবারে অধিনায়কোচিত ইনিংস। শিখর ধাওয়ান করেন ৪৬ রান। এই ২ জন প্যাভিলিয়নে ফিরলেও এরপর জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় আম্বাতি রাইডু ও দীনেশ কার্তিক জুটি। ২ জনেই ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২৯ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। ম্যাচের সেরা হন মাত্র ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট তোলা ভুবনেশ্বর কুমার।
(ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – @BCCI)