মরুদেশে আজ ফাইনালের লড়াই। কাপ জেতার লড়াই। একদিকে ধারে ভারে অনেক এগিয়ে থাকা ভারত। অন্যদিকে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে বাংলাদেশও অনেকটা মনোবল পেয়েছে। তাদের হারানোর কিছু নেই। কিন্তু ভারতকে হারানোর জন্য শেষ লড়াইটুকু দেওয়ার তাগিদ আছে। এদিন সারা ভারত তাকিয়ে ভারতের জয়ের দিকে। অন্যদিকে ভারতের বাংলা ভাষাভাষী পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কিছুটা দ্বিধাবিভক্ত। মাঠে একদিকে ১১টা ছেলে নিজেদের মধ্যে স্পষ্ট বাংলায় কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবে। লড়াই করবে। তাদরে সমর্থন দেওয়া উচিত, নাকি নিজের দেশ ভারতকে সাপোর্ট করা উচিত। এই নিয়ে মহা টানাপোড়েনে পড়েছেন তাঁরা।
এদিন দুবাইয়ে ভারত যেখানে পুরো দল নামাচ্ছে। সর্বশক্তি নিয়ে কাপ জিততে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। সেখানে বাংলাদেশের অধিনায়ক টানাপড়েনে মাশরাফি মর্তুজাই আঙুলের চোটে কাবু। এমনিতেই বাংলাদেশ চোটের জন্য ফাইনালের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাচ্ছে না সাকিব আল হাসানকে। এটা বাংলাদেশের জন্য সুখবর নয়। কারণ যেখানে ভারত বোলিং আক্রমণে বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমার, কুলদীপদের মত আক্রমণকে সামনে রাখছে, যেখানে ব্যাটিং লাইনআপে একের পর এক দাঁড়িয়ে রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ানের মত ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান, সেখানে বাংলাদেশ কিন্তু কিছুটা কোণঠাসা। তবে সেটা পাল্টা মরিয়া লড়াইয়ের শক্তি দেয়। আসল কথা হল আজ মাঠে যে দল ভাল খেলে দেবে, ফাইনালের চাপ ধরে রাখতে পারবে তারাই কাপ নিয়ে যাবে।