বন্যা দুর্গত ৩৬ লক্ষ মানুষ, মৃত ৭৬
দিনের পর দিন বৃষ্টি ক্রমশ পরিস্থিতিকে ভয়াবহ থেকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে। প্রায় গোটা রাজ্যটাই এখন বন্যার কবলে।
গুয়াহাটি : ব্রহ্মপুত্র সহ অন্য নদীগুলি ফুঁসতে শুরু করেছিল কয়েক সপ্তাহ আগেই। পরিস্থিতিও ক্রমশ ঘোরাল হচ্ছিল। গত প্রায় সপ্তাহ তিনেক ধরে তা ঘোরালই হয়েছে। বন্যার জল নতুন নতুন এলাকা গ্রাস করেছে। গ্রামের পর গ্রাম জলের তলায় হারিয়ে গেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ পরিবার নিয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়েছেন বাঁচার আশায়। গবাদি পশু থেকে চাষের জমির করুণ পরিস্থিতি তাঁদের দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়েছে। অসমের পরিস্থিতি কিন্তু ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।
অসমের ৩৩টি জেলার মধ্যে এখন ২৮টি জেলাই বন্যা দুর্গত। চারিদিকে শুধু জল আর জল। এখনও জল বাড়ছে। সরকারের তরফ থেকে ৭১১টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে বহু মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অনেক দুর্গত মানুষের কাছে খাবার ও জল পৌঁছে দিচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। অধিকাংশ জায়গাতেই পৌঁছনোর একমাত্র উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে নৌকা। রাস্তা অনেক আগেই হারিয়ে গেছে জলের তলায়।
এখনও পর্যন্ত অসমের বন্যায় ৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ৩৬ লক্ষ মানুষ বন্যা কবলিত। কবে পরিস্থিতির উন্নতি হবে তাও পরিস্কার নয়। কাজিরাঙা অভয়ারণ্যেও বন্যপ্রাণের মৃত্যু হচ্ছে। অনেক প্রাণি প্রাণ বাঁচাতে পাহাড়ি উঁচু এলাকায় পালাচ্ছে। অনেক প্রাণি আবার জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে। গবাদি পশুদেরও একই অবস্থা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা