পায়ে কাদা, পরনে সাদামাটা শাড়ি, প্রাণ বাজি রেখে একা লড়ছেন মহিলা আধিকারিক
না বলে দিলে সহজে বোঝার উপায় নেই যে তিনি কোনও জেলার ডেপুটি কমিশনার। ফের তিনি ফিরলেন লড়াইয়ে। ফের তাঁকে সেলাম জানালেন অনেকে।
২০২০ সালে যখন সারা দেশ ব্যাধির হানায় স্তব্ধ, তখন তাঁর বিয়ের কথা ছিল। পরিবার চেয়েছিল অন্তত বিয়েটা নিজের বাড়ি থেকে করুন তাঁদের মেয়ে। কিন্তু তিনি রাজি হননি।
বিয়ের জন্য বরং বরকে উড়ে আসতে হয়েছিল তাঁর কাছে। তারপরেও বিয়ের দিনও ছুটি নেননি তিনি। তখনই সারা দেশে তাঁর কাজের প্রতি দায়বদ্ধতার নজির গড়েছিলেন। ছড়িয়ে পড়েছিল নাম। এবার সেই দামাল মেয়ে ফের নজির গড়লেন তাঁর দায়বদ্ধতার।
অসমের কাছার জেলা প্রাক বর্ষার প্রবল বর্ষণে বন্যাবিধ্বস্ত। ৩০টি প্রাণ কেড়েছে এই বন্যা। বহু সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে ভিটে ছেড়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে ত্রাণ শিবিরে।
অসমের সেই কাছার জেলার ডেপুটি কমিশনার পদে রয়েছেন আইএএস অফিসার কীর্তি জালি। হায়দরাবাদের এই যুবতী এবার সেই বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়লেন।
কেবল নির্দেশ দিয়ে কাজ সারতে পারতেন তিনি। কীর্তি চিরকালই একটু অন্য ধাঁচের। তিনি পায়ে কাদা মেখে পৌঁছচ্ছেন বন্যাবিধ্বস্ত মানুষের পাশে। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তাঁদের উদ্ধার করছেন। আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছেন।
একটি নৌকার ওপর অত্যন্ত সাদামাটা পোশাকে হাসিমুখে এক মহিলার পাশে দাঁড়ানো তাঁর সেই ছবি প্রথমে ট্যুইটারে হইচই ফেলে। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কীর্তির এই প্রাণ বাজি রেখে বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় নিজে পৌঁছে যাওয়ার কথা এখন মুখে মুখে ফিরছে।