শহরেও এবার নৌকাতেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে গ্যাস
ভেনিসের কথা বলা হচ্ছে না। ঘটনাটা ঘটছে এ দেশেই। শহরের বাড়ি বাড়ি গ্যাস পৌঁছে যাচ্ছে নৌকা করে। সময়মত গ্যাস পেয়ে যাচ্ছেন গ্রাহকরা।
শহরে যাঁরা থাকেন তাঁরা একটা পুকুর বা দিঘি পেলে আনন্দ পান। ইট কাঠ পাথরের জঙ্গলে, পিচ ঢালা রাস্তায় একটু জলাধারের শান্তিটাও মেলে কদাচিৎ।
তবে এই দেশের এমন একাধিক শহরে এখন বাড়ি বাড়ি গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছে যাচ্ছে নৌকাতেই। নৌকা ছাড়া গতিও নেই। অন্য কোনওভাবেই গ্যাস পৌঁছনো যাবেনা গ্রাহকদের কাছে। এসব শহরের মানুষ জল আর দেখতে চাইছেন না।
অসমের বন্যা পীড়িত বিভিন্ন জায়গায় এখন গ্যাস পৌঁছনোর জন্য নৌকার সাহায্য নিচ্ছে ইন্ডিয়ান অয়েল। এমন এক ভাবনাকে সকলেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।
বন্যা পীড়িত মানুষজন এখন জলবন্দি। বাড়ি থেকে বার হওয়ার উপায় নেই। রাস্তা বলে আর কিছু নেই। শুধু জল আর জল।
অসমের শিলচরের অবস্থা সবশেষে শোচনীয়। ১ মাসের ওপর হয়ে গেল শিলচরে ট্রেন চলাচল স্তব্ধ। অসমের ৩৫টি জেলার মধ্যে ৩২টিই বন্যা কবলিত। তারমধ্যে শিলচর তো বটেই, সেইসঙ্গে কাছার, করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দি জেলার অবস্থাও ভয়াবহ। চারিদিকে শুধু জল।
ইতিমধ্যেই অসমের বন্যায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। মোবাইল সংযোগ অনেক জায়গায় পাওয়াই যাচ্ছেনা।
এই পরিস্থিতিতে পরিবারগুলি যাতে অন্তত খাবারটুকু সময়মত রেঁধে নিতে পারে সেজন্য নৌকায় করে গ্যাস পৌঁছে দিয়ে তারিফই পাচ্ছে তেল সংস্থা।
শহরে তো তবু একরকম, গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গায় উদ্ধারকারীদের পৌঁছতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে। অনেক জায়গায় পানীয় জল ও খাবারের চরম সমস্যা তৈরি হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা