আশ্চর্য মিল, মঙ্গলগ্রহে হেঁটে বেড়ানোর স্বাদ পেতে এখানেই হাজির হন পর্যটকেরা
মঙ্গলে কোনও অভিযানের আগে অনুশীলনের দরকার বিজ্ঞানীদেরও পড়ে। কিন্তু পৃথিবীর জমি মঙ্গলের মত নয়। একটা জায়গা অবশ্য রয়েছে যেখানকার শুকনো প্রান্তর মঙ্গলের সঙ্গে হুবহু মেলে।
লাল গ্রহ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখন উঠেপড়ে লেগেছেন। সেখান থেকে নানা তথ্য সংগ্রহ করছেন। সেখানে যানও পাঠিয়েছেন। যা মঙ্গলের মাটিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু মঙ্গলে এমন অভিযানের আগে তো প্রয়োজনীয় অনুশীলনের দরকার পড়ে।
মঙ্গলের জমির ওপর ঘোরার জন্য যান পাঠাতেও তো মঙ্গলের মাটি দরকার। যেখানে একটু অনুশীলন করে ভুল ত্রুটি থাকলে ঠিক করে নেওয়া যাবে। সেজন্য এই পৃথিবীর বুকে একটাই জায়গা রয়েছে। সেখানেই তাই বিজ্ঞানীরা পৌঁছে যান যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা ও অনুশীলনের জন্য।
পৃথিবীতে বসেই যদি মঙ্গলের মাটি পেতে হয় তাহলে পৌঁছে যেতে হবে দক্ষিণ আমেরিকার চিলির উত্তর অংশে। যেখানে রয়েছে আতাকামা মরুভূমি। যাকে বিশ্বের সবচেয়ে শুকনো জায়গা বলা হয়।
এই আতাকামা মরুভূমির অতি রুক্ষ প্রান্তর, কমলা ধুলোর মাটি, পাহাড়, পাথুরে জমি, বিন্দুমাত্র জল না থাকা এবং প্রাণহীন দিগন্ত বিস্তৃত প্রান্তর কার্যত মঙ্গলের জমিকেই যেন হুবহু তুলে এনেছে পৃথিবীর বুকে। পৃথিবীর আর কোথাও এমন রুক্ষ শুকনো প্রান্তর নেই।
মঙ্গলের মত জমি পৃথিবীতেই পাওয়া যাওয়ায় মঙ্গলে কোনও অভিযানে যান পাঠানোর আগে বিজ্ঞানীরা এই আতাকামায় পরীক্ষা সেরে নেন। কারণ এখানে ভুল ধরা পড়লে তা মঙ্গলের মাটিতেও ধরা পড়বে।
শুধু মঙ্গল বলেই নয়, এমন প্রান্তর বিজ্ঞানীদের পছন্দের কারণ এখানকার জমির সঙ্গে পৃথিবীর বাইরের যে কোনও গ্রহ, উপগ্রহের জমির মিল পাওয়া যায়।