তাঁর হাতেই তৈরি হয়েছিল বিজেপি। সেই বিজেপির নতুন পার্টি অফিসেই কখনও আসতে পারেননি অটলবিহারী বাজপেয়ী। দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের সেই বিশাল দলীয় কার্যালয়ে অবশেষে এলেন তিনি। তবে কফিনবন্দি হয়ে। দরজায় দাঁড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী, বিজেপি সভাপতি, বিভিন্ন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা। সেনার তত্ত্বাবধানে এখানেও দেহ নামানো হয়। তারপর সেনাই কাঁধ দিয়ে কফিনবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যায় ভিতরে। সেখানে বিশাল হলঘরে সাদা ফুলের বেদী তৈরি করা হয়েছিল। সেখানেই রাখা হয় কফিন। ভিতরে তখন একটানা বেজে চলেছে গীতার বচন। বাজছে ভজন। বিজেপি পার্ট অফিসের বাইরে তখন অগণিত মানুষের ঢল নেমেছে। তাঁদের প্রিয় নেতাকে শেষ দেখা দেখতে লম্বা লাইন সাপের পর পৌঁছে গেছে বহু দূর।
এদিকে দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান সহ বিজেপির বহু নেতা। বিজেপির পার্টি অফিসের বাইরে তখন লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়।
যে সময় নির্ধারিত ছিল তার চেয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা পিছিয়ে থাকায় কখন শেষকৃত্যের জন্য দেহ বিজেপি অফিস থেকে বার করা হবে তা নিয়ে ধন্দ ছিল। শোনা যাচ্ছিল যে নির্ধারিত সময় দেহ রাখার কথা, তার চেয়ে কিছুটা আগেই হয়তো দেহ বার করে নিয়ে যাওয়া হবে। অবশেষে দুপুর ২টোয় বিজেপি পার্টি অফিস থেকে কফিনবন্দি অটলবিহারী বাজপেয়ীর দেহ পূর্ণ মর্যাদায় বার করে আনে সেনা বাহিনী। শুরু হয় শেষ যাত্রা।
(ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – বিজেপি ফর ইন্ডিয়া)