দুপুর ২টো। বিজেপি পার্টি অফিসের বাইরে তখন থিকথিক করছে মানুষের ভিড়। এখান থেকে গন্তব্য রাষ্ট্রীয় স্মৃতি স্থল। সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। বিজেপি পার্টি অফিস থেকে তাঁর এই শেষ যাত্রায় পা মেলালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান সহ বিজেপির বহু নেতা মন্ত্রী। ছিলেন সেনাবাহিনীর পদস্থ আধিকারিকরা। আর রাস্তার দুধারে ছিলেন অগণিত মানুষ। কফিন ঢাকা ছিল জাতীয় পতাকায়। তার ওপর ভরে গিয়েছিল গোলাপের পাপড়ি। কফিনের মাথা ঢাকা দেওয়া হয়েছিল ৩টি রঙিন ছাতায়।
লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় ঠেলে ধীরে ধীরে এগোয় গাড়ি। দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গ থেকে গাড়ি পৌঁছয় বাহাদুর শাহ জাফর রোড। লম্বা গাড়ির সারি। আর চারপাশে থিক থিক করছে মানুষ। মানুষের মাথা আর মাথা। বেশ কয়েক বার মানুষের ভিড়ে শেষ যাত্রা বিঘ্নিত হয়। থমকে যায় সব গাড়ি। বহু মানুষ ফুল ছুঁড়ে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করছিলেন। গোলাপের পাপড়িতে রাস্তার রঙ অনেক জায়গায় লাল হয়ে গেছে। ওড়ে গোলাপি আবিরও। জনতাকে দুপাশে ধরে রাখতে হিমসিম খেতে হয় সুরক্ষাকর্মীদের। এদিকে গাড়ির সঙ্গে হাঁটছেন প্রধানমন্ত্রী সহ বহু নেতা মন্ত্রী। ফলে তাঁদের সুরক্ষাও একটা বড় বিষয় ছিল এদিন। এভাবেই জনপ্লাবনে ভেসে নেতাজি সুভাষ মার্গ হয়ে অটলবিহারী বাজপেয়ীর শেষযাত্রা এগোয় রাষ্ট্রীয় স্মৃতি স্থলের দিকে।
এভাবেই মানুষের ভিড় ঢেলে অটলবিহারী বাজপেয়ীর দেহ রাষ্ট্রীয় স্মৃতি স্থলে এসে পৌঁছয় বিকেল পৌনে ৪টেয়। ৩টে ৫০ মিনিটে তাঁর দেহ নামিয়ে আনেন সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা। রাখা হয় সাদা চাদরে মোড়া বেদীর ওপর।
(ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – বিজেপি ফর ইন্ডিয়া)