অবশেষে চলে গেলেন তিনি। রেখে গেলেন অজস্র স্মৃতি। এক চিরস্মরণীয় কর্মজীবন। ক্ষুরধার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তো বটেই সেই সঙ্গে দেশ হারাল এক কবিকে। যিনি তাঁর নিজগুণেই ছিলেন দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রিয়। এমন শ্রদ্ধা ভালবাসা কতজনই বা পান! তিনি পেয়েছেন। তবে শেষ জীবনে একটা দীর্ঘ সময় তাঁকে দৈহিক যন্ত্রণা কষ্ট দিয়েছে। তিনি থেকেও যেন ছিলেন না। এই সময়ে তাঁর মত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সুচিন্তিত মতামত থেকে বঞ্চিত হয়েছেন দেশবাসী। সেই অটলবিহারী বাজপেয়ী বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। অনেক দিন ধরেই তিনি ভর্তি ছিলেন এইমসে। ফুসফুসে সংক্রমণ, কিডনির সমস্যা ও মূত্রনালির সমস্যা নিয়ে দিল্লি এইমসে ভর্তি অটলবিহারী বাজপেয়ীর অবস্থার গুরুতর অবনতি হয় গত বুধবার।
বুধবারই তাঁকে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে দেওয়া হয়। তাঁর অধিকাংশ অঙ্গ কাজ করছিল না। সবই কার্যত কৃত্রিমভাবে চালাচ্ছিলেন চিকিৎসকেরা। অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন না তিনি। ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল শারীরিক অবস্থার। এই পরিস্থিতিতে গতকাল রাতেই প্রধানমন্ত্রী হাজির হন হাসপাতালে। পরে এদিন সকাল থেকেই হাসপাতালে একে একে হাজির হতে থাকেন নেতা মন্ত্রীরা। সকলেই প্রার্থনা করছিলেন তাঁর আরোগ্যের। কিন্তু যাবতীয় চেষ্টা, প্রার্থনা বিফল করে বৃহস্পতিবার বিকেলে চিরনিদ্রায় চলে গেলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। অবসান হল একটা যুগের।