কখনও সংসদ চত্বরে জঙ্গি হামলা, কখনও বা নোবেল চুরি। শান্তিনিকেতনের সাথে যতবারই সাক্ষাৎ হয়েছে অটলবিহারী বাজপেয়ীর, প্রেক্ষাপটটা ছিল অশান্ত।
প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্য থাকাকালীন ২০০১ সালে প্রথমবার শান্তিনিকেতনে আসেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। দিনটা ছিল ১৫ ডিসেম্বর। তার ঠিক ২ দিন আগে ১৩ ডিসেম্বর জঙ্গি হামলা চলে সংসদে। ফলে সেবারের সমাবর্তন অনুষ্ঠান ছোট করে দেওয়া হয়। বাজপেয়ী ছিলেন প্রথম আচার্য যিনি নিজে হাতে সমস্ত পড়ুয়াদের সপ্তপর্ণি তুলে দেননি। ফলে সেই সমাবর্তন সভা থেকে হিন্দি ভবনের এক ছাত্রী প্রতিবাদও জানান। কিন্তু আচার্যের প্রতীকী সপ্তপর্ণি দেওয়ার প্রথা সেই থেকে বহাল থাকে বিশ্বভারতীতে।
দ্বিতীয়বার বিশ্বভারতীর সর্বোচ্চ সঙ্কটের সময়ে শান্তিনিকেতনে আসেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পদকটি রবীন্দ্রভবন থেকে চুরি যাওয়ার পর বাজপেয়ী সেই ঘটনাকে জাতীয় ক্ষতি বলে উল্লেখ করেন। তিনি বিশ্বভারতীতে আসার পর পড়ুয়া, শিক্ষক, কর্মীরা তৎকালীন উপাচার্য সুজিত বসুর বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড দেখান প্রধানমন্ত্রীকে। অধ্যাপক সভার পক্ষ থেকে কিশোর ভট্টাচার্য দেখা করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার বিকালে তাঁর মারা যাওয়ার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই বাতিল করে দেওয়া হয় বর্ষামঙ্গল অনুষ্ঠান। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন ৩ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।