একার লড়াই, ১৫০ কেজি ওজন নিয়ে গঙ্গার ধার ধরে ছুট
এ লড়াই তাঁর একার। তাই কারও সাহায্য নয়। একাই নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে গঙ্গা বাঁচাতে ছুটছেন অতুল। গঙ্গার পার ধরে ১৫০ কেজি ওজন নিয়ে ছুটছেন তিনি।
গঙ্গা ভারতে কেবল একটি নদীর নাম নয়, গঙ্গা একটা আধ্যাত্ম ভাবনার নাম। গঙ্গা একটা তীর্থের নাম, যার স্পর্শে পুণ্যের ঝুলি পূর্ণ হয় মানুষের।
সেই গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করতে কেন্দ্রীয় সরকার নমামি গঙ্গে নামে একটি প্রকল্পের সূচনা করেছে। কিন্তু তার পরেও গঙ্গার হাল ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। গঙ্গাকে বাঁচাতে তাই একার লড়াই শুরু করলেন এক ব্যক্তি।
তিনি নিজে একজন ম্যারাথন কোচ। তাঁর দক্ষতা দৌড়-এ। সেই দৌড়কেই তাই তাঁর লড়াইয়ের হাতিয়ার করলেন। অতুল কুমার চোকসি ছুটতে শুরু করেছেন।
সেই গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে দৌড় শুরু করেছেন অতুল। গত ৩ নভেম্বর থেকে ছুটতে শুরু করে গঙ্গার ধার ধরে তিনি পৌঁছেছেন হৃষীকেশ।
এখনও অনেকটা পথ ছোটা বাকি। তিনি ছুটে হাজির হবেন গঙ্গাসাগরে। পূর্ণ করবেন গঙ্গার সম্পূর্ণ গতিপথ। যা ৩ হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত।
রান ফর দ্যা গ্যাঞ্জেস নাম দিয়ে শুরু হয়েছে অতুলের এই দৌড়। তবে শুধুই খালি হাতে ছুটছেন না তিনি। ছুটছেন একটি ট্রলি নিয়ে।
ট্রলিটিতে রাখা রয়েছে একটি তাঁবু, ওষুধপত্র সহ চিকিৎসার কিছু সরঞ্জাম, জিপিএস যন্ত্রপাতি, ল্যাপটপ, স্লিপিং ব্যাগ সহ অন্য বেশকিছু প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে।
এই ওজন কিন্তু অতুল মাথায় বেঁধে বা কোমরে বেঁধে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন সঙ্গে। ফলে এ দৌড় মুখের কথা নয়। মনে করা হচ্ছে পুরো রাস্তা অতিক্রম করতে অতুলের ৯০ থেকে ১০০ দিন লাগবে।
৩৪ বছরের অতুল চোকসি জানিয়েছেন, অবহেলার ফলে গঙ্গা এখন এক ভয়ংকর পরিস্থিতিতে রয়েছে। এ সম্বন্ধে মানুষকে সচেতন করা অবিলম্বে দরকার।
একে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এক বড় সমস্যা। তার সঙ্গে গঙ্গায় আবর্জনা ফেলা, প্লাস্টিক ফেলা সহ নানাভাবে মানুষ দূষিত করছেন জলকে। সে সম্বন্ধে মানুষকে অবহিত করাও অতুলের উদ্দেশ্য। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা