World

মেয়েকে গর্ভনিরোধক খাইয়ে ধর্ষণ, ৭২ বছরের পিতার হাজতবাস

তখন মাত্র ১০ বছর বয়স। হাতে পুতুল নিয়ে ঘুরত মেয়েটি। সেইসময়ে প্রথমবার ধর্ষণের শিকার হতে হয় ফুটফুটে শিশুটিকে। বাইরের কারও হাতে নয়। স্বয়ং পিতাই ছিলেন সেই ধর্ষক। মধ্য তিরিশের পিতার এই পাশবিক কাণ্ড ভাল করে বুঝেও উঠতে পারেনি শিশুমন। কিন্তু তার সঙ্গে এটা চলতেই থাকে। বাবা বোঝাত তাকে ভালবাসে, তাই এমন করে। মেয়েটিও ভাবত যখন বাবা বলছে তখন সেটা ঠিকই হবে।

১২ বছর বয়সে স্কুলে সদ্য সদ্য যৌন শিক্ষার ক্লাস করতে গিয়ে তার মনে প্রথম খটকা লাগে। বাবাকে প্রশ্ন করে সে। বাবা বোঝায় স্কুলে ভুল শেখাচ্ছে। মেয়ের ১৩ বছরে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাকে গর্ভনিরোধক ট্যাবলেটও খাওয়াতে শুরু করে বিকৃতরুচির পিতা। বুঝতে পারে মেয়ে এবার সব বুঝতে পারছে। এবার শুরু হয় হুমকি। কাউকে কিছু জানালে সে তার ভাইকে আর দেখতে পাবেনা বলে বাবাই ভয় দেখায় মেয়েকে। যদিও বছর ১৪ পার করার পর আর ঝুঁকি নেয়নি বাবা। কিন্তু সেই ভয়ংকর স্মৃতি এই ৫০ বছরেও অমলিন সেদিনের সেই ছোট্ট শিশুটির। তবু তিনি এখনও পিতার বিরুদ্ধে পুলিশে যাননি। গেলেন তাঁর মা। যখন তিনি জানতে পারলেন মেয়েকে কিভাবে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে গেছে তাঁর স্বামী। ২০১০-এ নিগৃহীতার মা স্বামীর বিরুদ্ধে সব জানিয়ে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে মামলা দায়ের করেন। ২০১৩ সালে অভিযুক্তকে ইংল্যান্ড থেকে ফিরিয়ে এনে ১৮ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় অস্ট্রেলীয় আদালত। ২০১৬ সালে ৭২ বছরের সেই পাশবিক পিতার শরীরের কথা মাথায় রেখে সাজা কমানোর আর্জি জানান তার আইনজীবী। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ হয়ে গেছে।



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button