বাঁচিয়েছেন ২০ লক্ষ শিশুর জীবন, রক্ত দিতে হাতা গুটিয়েছেন হাজার বার
তিনি এক প্রবাদপ্রতিম মানুষ। যিনি প্রায় ২০ লক্ষ শিশুর জীবন রক্ষা করেছেন। চলে গেলেন বাস্তব জীবনের সুপার হিরো। তাঁকে চিরদিন মনে রাখবে পৃথিবী।

অনেক সময় দেখা যায় মায়ের রক্ত তাঁর তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের জন্য ঝুঁকির হয়ে উঠছে। গর্ভে থাকা সন্তানের জন্য যা ভাল করার চেয়ে বরং ক্ষতি করতে পারে। এমন সম্ভাবনা আছে যেসব মায়ের দেহে তাঁদের যদি অ্যান্টি ডি নামে একধরনের অ্যান্টিবডি দেওয়া যায় তাহলে শিশুটির প্রাণ রক্ষা হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার জেমস হ্যারিসনের রক্তে এই অতি বিরল অ্যান্টি ডি-এর অস্তিত্বের খোঁজ পাওয়া যায়। এই অ্যান্টি ডি জেমসের রক্তে ছিল। এমন এক অ্যান্টিবডি ছিল যা সচরাচর কারও রক্তে পাওয়া যায়না। এটি মানবদেহেই তৈরি হয়।
জেমস তাঁর ১৮ বছর বয়স থেকেই রক্ত দেওয়া শুরু করেন। তারপর ৮১ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি রক্তদান থামাননি। রক্তদান করতে তাঁকে ১ হাজার বারের ওপর জামার হাতা গোটাতে হয়েছে।
তাঁর দান করা রক্তের প্লাজমা গর্ভবতীদের দেহে প্রয়োগ করে সুফল মিলেছে। হিসাব বলছে হ্যারিসনের রক্তে থাকা অ্যান্টি ডি ২০ লক্ষ শিশুর প্রাণ রক্ষা করেছে।
বাস্তব জীবনের এই সুপার হিরো ৮৮ বছর বয়সে পরলোকগমন করলেন। রেখে গেলেন তাঁর মহৎ দান। ‘ম্যান উইথ দ্যা গোল্ডেন আর্ম’ নামে পরিচিত হ্যারিসন আজীবন তাঁর এই রক্তদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে থেকে যাবেন। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি নার্সিংহোমে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জেমস হ্যারিসন।