বজ্রাঘাতের পর চোখ খুলে অবাক হয়ে গেলেন মহিলা, এটাও সম্ভব
বাজ পড়েছিল তাঁর শরীরে। সে বজ্রাঘাত তাঁর প্রাণ কাড়েনি ঠিকই, তবে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছিল। পরে যখন মহিলা নিজের চোখ দেখেন তখন অবাক হয়ে যান।

তিনি ঝড়বৃষ্টি, বজ্রপাত দেখতে ভালবাসতেন। প্রাকৃতিক এই ঘটনা তাঁকে টানত। এমন হলে তিনি দরজা, জানালা বন্ধ না করে বরং আকাশের বুক চিরে বজ্রের ঝলকানি, ঝড়বৃষ্টি দেখতেন দুচোখ ভরে।
সেদিন এমনই ঝড় হচ্ছিল। বাজ পড়ছিল ঘনঘন। ওই মহিলা সেই প্রাকৃতিক ঘটনা আরও ভাল করে দেখবেন বলে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন। তাঁর বজ্রের ঝলকানি দেখার শখ ছিল ঠিকই, কিন্তু তার আঘাতের ধাক্কা সহ্য করার ইচ্ছা মোটেও ছিলনা।
কিন্তু প্রকৃতির ওপর তো কারও হাত নেই। মহিলা বাড়ির বাইরে বার হওয়ার পর বজ্রপাত হয় তাঁর ওপর। তাঁর মনে হয় তিনি ক্রমশ তাঁর জ্ঞান হারাচ্ছেন। পা ২টো অবশ হয়ে গেছে। শরীরটা চেয়েও নাড়তে পারছেন না। মহিলাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বজ্রপাত তাঁর প্রাণ না কাড়লেও তাঁকে সাময়িক পক্ষাঘাতে আক্রান্ত করে। হাসপাতালে দীর্ঘ চিকিৎসার পর তিনি অবশ্য সেই পক্ষাঘাত থেকে বেরিয়ে আসেন। স্বাভাবিক হয় তাঁর শরীর।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি যখন প্রথমবার আয়নায় নিজের চোখটা দেখেন তখন তিনি আঁতকে ওঠেন। এ কী করে সম্ভব! তাঁর চোখ ছিল সবুজ। দেখেন সেই সবুজ চোখ গেছে বদলে। সবুজ চোখটা খয়েরি রংয়ের হয়ে গেছে। সবুজের আর কোনও চিহ্ন নেই।
অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা ওই মহিলার কাহিনি সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট-এ প্রকাশিত হওয়ার পর অনেক সংবাদমাধ্যমেই তাঁর এই চোখের রং বদলের ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ে।