বেড়াল হতে চেয়ে ৬ লক্ষ টাকা খরচ করলেন এক মহিলা, তারপর যা হল
তাঁর শখ হয়েছিল তিনি বেড়াল হয়ে যাবেন। এজন্য তিনি খরচ করতে শুরু করেন। ৬ লক্ষ টাকার বেশি খরচ করেন বেড়াল হতে।

তিনি বেড়াল হতে চেয়েছিলেন। তাঁর ধারনা ছিল তাঁর মুখটাকে যদি বেড়ালের মুখ করে দেওয়া যায় তাহলে তাঁকে বেড়ালের মত দেখতে হবে। সে তো আর এমনি হবেনা। তার জন্য প্রয়োজনীয় শারীরিক প্রতিস্থাপন দরকার। এজন্য তিনি মুখে নানা সংযোজন শুরু করেন।
চিকিৎসকেরাও পরীক্ষামূলক মানসিকতা নিয়ে তাঁর মুখকে বেড়ালের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যে ভরিয়ে তুলতে থাকেন। এজন্য তিনি ৮ হাজার ডলার খরচ করে ফেলেন। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার মতন।
এই খরচটা করে ফেলার পর ২টি বিষয় হয়। এক তিনি বুঝতে পারেন তিনি যতই চেষ্টা করুন না কেন তাঁর মুখটা বেড়ালের মত হচ্ছেনা। মুখে নানা সংযোজন করার পরও নয়। দ্বিতীয়ত যেটা হয় সেটা হল অসহ্য যন্ত্রণা।
তিনি মুখে যে পরিবর্তনগুলি করেছিলেন, যা যুক্ত করেছিলেন, তা থেকে প্রবল যন্ত্রণা হতে থাকে। যন্ত্রণা এতটাই কষ্টকর হয়ে ওঠে যে তিনি নিজেই সেগুলি টেনে টেনে বার করে দিতে থাকেন মুখ থেকে। এরফলে যেমন মুখে দাগ তৈরি হয় তেমনই তৈরি হয় ক্ষত।
অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টের বাসিন্দা জোলেন ডসন নামে ওই যুবতী এখানেই থামেন। পরে তিনি এটাও জানান যে যদি তিনি তাঁর শখ মেটাতে মুখটা বেড়ালের মত করতেও পারতেন, তাহলেও তিনি তা চিরদিনের জন্য করে রাখতেন না।
এরফলে দ্রুত জনপ্রিয়তা পেতে পারতেন। মানুষের নজরে পড়তে পারতেন। তাঁকে নিয়ে চর্চা হত। সেটাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। কিন্তু সেটাও হল না। কারণ খরচ করেও মুখ বেড়ালের মত হল না। নিউ ইয়র্ক পোস্ট সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়। তারপর অনেক সংবাদমাধ্যমে এই খবর নজর কাড়ে।