গত শুক্রবার ঘড়ির কাঁটায় তখন ভোর সওয়া ৫টা। থানায় জনাকয়েক কর্তব্যরত পুলিশকর্মী বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এমন সময় ভোরের নিস্তব্ধতা ভেঙে বেজে ওঠে থানার টেলিফোন। ফোনের ও প্রান্তে ফিসফিসিয়ে ওঠে পুরুষের কণ্ঠস্বর। মার্গারেট নদীর অনতিদূরে একটি আবাসনে তাড়াতাড়ি পৌঁছান। সেখানে ৭ টা লাশ চোখে পড়বে। এটুকু বলার পরই কেটে যায় লাইনটা।
খবরের সত্যতা যাচাই করতে দলবল নিয়ে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার মার্গারেট নদী লাগোয়া অস্মিংটন গ্রামে উপস্থিত হয় পুলিশবাহিনী। চিরুনি তল্লাশি চালানোর পর সত্যিই ৭টি মৃতদেহের খোঁজ পান তাঁরা। স্থানীয় এক আবাসনের বাইরে পড়ে থাকতে দেখা যায় ২ প্রাপ্তবয়স্কের নিথর শরীর। বাকি ৫ জনের দেহ উদ্ধার হয় আবাসনের ভিতর থেকে। যাদের মধ্যে ১ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং বাকি ৪ জন শিশু। আবাসনের ভিতর মৃতদের পাশ থেকে উদ্ধার হয় ২টি আগ্নেয়াস্ত্র। এই আগ্নেয়াস্ত্রেই ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। মৃতেরা প্রত্যেকেই ওই আবাসনের বাসিন্দা। ২টি পরিবারের সদস্য। সম্ভবত সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই এই হত্যালীলা বলে প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করছে পুলিশ। এতগুলো মানুষের খুনের পিছনে কে বা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।