নিউজিল্যান্ডে বন্দুকবাজের হানা নিয়ে চাপানউতোর চলছে। এরমধ্যেই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে এক অস্ট্রেলিয়ান সেনেটরের মাথায় ডিম ফাটাতে দেখা গেছে এক কিশোরকে। প্রতিবাদের এই ভাষা নিয়ে রীতিমত হৈচৈ পড়ে গেছে। মাত্র ৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে মেলবোর্নে একটি সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন সেনেটর ফ্রেজার এনিং। সেই সময় তাঁর পাশে খুব কাছে দাঁড়িয়ে মোবাইলে ছবি তুলছিল এক কিশোর।
আচমকাই ডানহাতে থাকা একটি ডিম সে ফ্রেজারের মাথার পিছন দিকে ফাটিয়ে দেয়। প্রথমে বিষয়টায় চমকে গেলেও মুহুর্তে নিজেকে সামলে পাল্টা ওই নাবালকের মুখে ঘুষি চালান ফ্রেজার। আশপাশ থেকে লোকজন চলে আসেন। তাঁরাই ফ্রেজারকে সরিয়ে নেন।
এই ভিডিওটি ভাইরাল হতেই হৈচৈ পড়ে যায়। এদিকে এই ঘটনার পর ওই ১৭ বছরের কিশোর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে কার্যত হিরোর মর্যাদা পাচ্ছে। তার নামই হয়ে গেছে এগ বয়। কিন্তু কেন এমন আচরণ? ফ্রেজারের একটি জাতি বিরোধী মন্তব্য ঘিরেই এই প্রতিবাদ।
নিউজিল্যান্ডের ঘটনাকে সামনে রেখে মুসলিমদের প্রতি কটাক্ষ করে ফ্রেজার বলেন, যারা সাধারণত এমন ঘটনা ঘটায়, নিউজিল্যান্ডে তারাই এবার এমন কুকর্মের শিকার। ফ্রেজারের এই বক্তব্যকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ২ জনেই কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন। নিন্দা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। তাঁকে অবিলম্বে সেনেটর পদ থেকে সরানোর দাবি উঠেছে।
ইতিমধ্যে ১৫ লক্ষ সাধারণ মানুষের সাক্ষরিত একটি পত্র অস্ট্রেলিয়ার সংসদে পাঠানো হয়েছে। সেখানে সেনেটর তকমা ফ্রেজারের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার দাবি করা হয়েছে। এমনকি তাঁর বক্তব্যের পর অন্য সেনেটররাও ফ্রেজারকে সরানোর দাবিতে সোচ্চার। ফলে বিপাকে ফ্রেজার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা