সিনেমার পর্দায় বিখ্যাত পরিচালক অ্যালফ্রেড হিচকক পরিচালিত দ্যা বার্ড দেখে শিউরে উঠেছিলেন অনেকে। পাখির দল যে এমন ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে তা কে ভেবেছিল! তবে সিনেমায় তো সবই হতে পারে। তাই সিনেমা দেখার সময় শিহরণ জাগলেও টানটান উত্তেজনা-আতঙ্ক ভ্যানিস হয়ে গিয়েছিল সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে। অনেকের মনে হয়েছিল প্লট দারুণ, কিন্তু গাঁজাখুরি ছাড়া আর কিছু নয়। এমনটা বাস্তবে অসম্ভব! অগুন্তি বাদুড়ের পাল কিন্তু কিছুটা হলেও ওই প্লটকে সম্ভব বলে বুঝিয়ে দিল। ফারাক একটাই, বাস্তবে বাদুড়ের পাল এখনও কোনও মানুষকে আক্রমণ করেনি। কিন্তু যা পরিস্থিতি তাতে করতে কতক্ষণ? এমনই প্রশ্ন তুলে সিঁটিয়ে আছেন শহরের বাসিন্দারা।
পড়ুন : তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪৭°, গরমে দগ্ধ হয়ে মৃত ৪০০
অস্ট্রেলিয়ার উত্তর কুইন্সল্যান্ডের ইনগাম একটি ছোট্ট শহর। এই শহরটাই এখন বাদুড়ের দখলে চলে গেছে। শহরের এমন কোনও গাছ বাকি নেই যেখানে বাদুড়রা ঝুলে নেই। কত বাদুড় তা শুনলে আঁতকে উঠতে হয়! হিসাব বলছে ছোট্ট শহর ইনগামে বাসা বেঁধেছে ৩ লক্ষ বাদুড়। নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীবদ্ধভাবে বেজায় আছে তারা। আর সন্ধে নামলেই সকলে মিলে বেরিয়ে পড়ছে খাবারের সন্ধানে। উড়ে বেড়াচ্ছে শহরের আকাশ জুড়ে।
পড়ুন : মারণ ভাইরাস ‘নিপা’-র হানায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
ফ্রুট ব্যাট বা ফ্লাইং ফক্সেস, এই ২ নামেই পরিচিত ইনগাম শহরের বাদুড়রা। এখনও শহরের বাসিন্দাদের কোনও ক্ষতি তারা করেনি ঠিকই। কিন্তু বাসিন্দাদের আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। কারণ সংখ্যায় বেড়েই চলেছে এই বাদুড়রা। শহরে এখন তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। শহর কার্যত তাদের দখলে চলে গেছে। ইন্টারনেটেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা। বাদুড় নিয়ে হাসিঠাট্টার মাঝে একজন মনে করিয়ে দিয়েছেন বাদুড় কিন্তু ভাইরাস বহন করে। যা দ্রুত এই শহরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা