নীল সমুদ্রে ধারাল দাঁতের কামড়, মুহুর্তে শেষ প্রৌঢ়
নীল সমুদ্রের বুকে ঢেউয়ের তালে তালে সার্ফিং করেন অনেকেই। তেমনই সার্ফিংয়ে মত্ত এক প্রৌঢ়ের থাইতে পড়ল ধারালো দাঁতের কামড়।
সিডনি : যেসব বিচে বিশাল বিশাল ঢেউ ওঠে। সেখানে সার্ফিং এক জনপ্রিয় খেলা। ঢেউয়ের সঙ্গে সঙ্গে টাল সামলে এই অ্যাডভেঞ্চারের শিহরণে মেতে ওঠেন অনেকেই। অস্ট্রেলিয়ার সল্ট বিচে তেমনই ঢেউয়ের তালে তালে সার্ফিং করছিলেন ৫০ বছরের বেশি বয়সের এক প্রৌঢ়। এভাবে ঢেউয়ের তালে ভেসে বেড়ানোর সময় আচমকাই তিনি তাঁর থাইতে এক তীক্ষ্ণ ধারাল দাঁতের কামড় অনুভব করেন। রক্ত ঝরতে থাকে। দ্রুত তাঁকে বাঁচাতে হাজির হন উদ্ধারকারীরা।
ওই প্রৌঢ় তো বটেই তাঁকে বাঁচাতে আসা উদ্ধারকারীদেরও ওই নীল জলে নাজেহাল করতে থাকে একটি গ্রেট হোয়াইট শার্ক। এই হাঙরটির ধারাল দাঁতে রক্তাক্ত প্রৌঢ়কে তখন যেভাবে হোক বাঁচানোর চেষ্টা শুরু করেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু হাঙরটি সে কাজ সহজে করতে দেয়নি। বরং অনেক লড়াই করে তবেই হাঙরের হাত থেকে ওই প্রৌঢ়কে উদ্ধার করেন উদ্ধারকারীরা। নিয়ে আসা হয় কিনারায়। দেওয়া হয় ওষুধও। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। ওই সমুদ্রতটেই থাইতে গভীর ক্ষত নিয়ে মৃত্যু হয় প্রৌঢ়ের।
হাঙরটি তারপরও দীর্ঘ সময় ওই সল্ট বিচের আশপাশেই ঘুরে বেড়াতে থাকে। দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হয় জলে নামা। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এই সময় হাঙর সল্ট বিচের আশপাশে দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়ায় এ বছর এই নিয়ে ৩ জন প্রাণ হারালেন হাঙরের হানায়। গত বছর যদিও হাঙরের হানায় কারও মৃত্যু হয়নি। ১০ ফুটের ওপর লম্বা গ্রেট হোয়াইট শার্ক কার্যত এখানে নীল সমুদ্রের আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা