মাছ ধরার সময় জলের তলায় পা কেটে নিয়ে গেল হাঙর
মাছ ধরার সময় পা কেটে নিয়ে গেল হাঙর। প্রথমে টের না পেলেও পরে যন্ত্রণায় কাতরে ওঠেন এক ব্যক্তি।
ক্যানবেরা : মাছ ধরছিলেন তিনি। বিশেষ এক পদ্ধতিতে। আদি যুগে এভাবেই মানুষ মাছ ধরত। হাতে থাকত একটি লম্বা রড। যার মাথায় থাকত একটি ধারাল ফলা। অনেকটা হারপুনের মত। এবার সেই রড বা যা অনেক সময় গাছের ডাল দিয়েও হত, তা মাছ লক্ষ্য করে গেঁথে দেওয়া হত। ব্যাস, মাছ কব্জায়। একে পরিভাষায় বলা হয় স্পিয়ারফিশিং। এই স্পিয়ারফিশিং করতেই সমুদ্রে নেমেছিলেন ৩৬ বছরের ওই ব্যক্তি।
জলে অনেকটা নেমে গিয়ে মাছ গাঁথার চেষ্টা করছিলেন তিনি। সেই সময় আচমকাই পায়ে একটা আঘাত অনুভব করেন। তারপর দেখেন হাঙর একটা পায়ের একটা অংশই কেটে নিয়ে গেছে। বোঝামাত্র তিনি যন্ত্রণায় কাতরে ওঠেন। তাঁকে অন্যরা সমুদ্রের তীরে তুলে আনেন। সেখানেই একজন চিকিৎসক ও এক নার্স উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা তাঁর প্রাথমিক শুশ্রূষা করার চেষ্টা করেন।
প্যারামেডিকরাও এসে উপস্থিতি হন। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয় যন্ত্রণায়। ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের ফ্রেজার দ্বীপে। এখানে স্পিয়ারফিশিং যথেষ্ট জনপ্রিয়। অনেকেই সমুদ্রে বা অন্য জলে মাছ ধরার এই পুরনো প্রক্রিয়াকে খেলা হিসাবে নেন। এদিন তেমনই করতে গিয়ে হাঙরের তীক্ষ্ণ ব্লেডের মত ধারের দাঁতের শিকার হলেন ওই ৩৬ বছরের ব্যক্তি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা