ওরাও সংক্রমিত হচ্ছে, ঘরের চতুষ্পদীদের টিকাকরণের উদ্যোগ শুরু
কুকুর, বিড়াল তো বটেই এমনকি বাঘ, সিংহের মত প্রাণিও করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছে। তাই তাদের জন্য চালু হচ্ছে টিকা। কিন্তু প্রশ্নও থাকছে।
কুকুর, বিড়াল বাড়িতে পোষার রেওয়াজ বহুদিনের। ভারতেও অনেকে কুকুর, বিড়ালদের পুষে থাকেন। বিদেশেও এর যথেষ্ট চল রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে গৃহপালিত এই সব কুকুর, বিড়ালরা সহজেই করোনা সংক্রমণের শিকার হচ্ছে। তাই তাদেরও সুরক্ষা কবচের প্রয়োজন রয়েছে। সেই লক্ষ্যে রাশিয়া গবেষণা চালায়।
রাশিয়া ইতিমধ্যে একটি টিকাও তৈরি করেছে যা এসব গৃহপালিতদের করোনা থেকে রক্ষার পাওয়ার রক্ষাকবচ হিসাবে কাজ করবে। ঠিক মানুষের জন্য তৈরি টিকার মতই। এখন এই টিকা অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবহারের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। তবে প্রশ্ন সঙ্গী করে।
অস্ট্রেলিয়ায় ৩ কোটি গৃহপালিত কুকুর, বিড়াল রয়েছে। এদের মনিবরা এখনও কিন্তু এদের টিকাকরণ নিয়ে নিজেদের মনকে তৈরি করে তুলতে পারেননি।
সিডনির এক পশু চিকিৎসক এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন। গৃহপালিতদের টিকাকরণের জন্য সব রাস্তা খুলে রাখতে চাইছেন তিনি। তিনি আশাবাদী যে অস্ট্রেলিয়া সরকার তাঁর আবেদন মেনে নেবে। তবে এই টিকাকে নথিভুক্তিকরণের জন্য খরচ রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া সরকারও মেনে নিচ্ছে কুকুর, বিড়ালদের করোনা হচ্ছে। তবে তাদের থেকে মানুষে রোগটা সংক্রমিত হয় কিনা সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত নয়।
সিডনির ওই পশু চিকিৎসক সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছেন, প্রথমেই সব পোষ্যের জন্য টিকার বন্দোবস্ত করার দরকার নেই। আগে কিছু টিকা আনানো হোক। তারপর দেখা হোক কমপক্ষে ২ হাজার পোষ্যের মনিব তাদের টিকাকরণে উৎসাহী কিনা। যদি দেখা যায় উৎসাহ রয়েছে, তখন ধাপে ধাপে পোষ্যদের জন্য টিকা আনা যাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা