ভিনগ্রহের প্রাণি নয়, গাঁজার কারণে গোলাপি হয়ে গিয়েছিল রাতের আকাশ
রাতের অন্ধকার আকাশ আচমকা গোলাপি আলোয় ভরে ওঠে। যা দেখে বহু দূরের মানুষও হতবাক হয়ে যান। অনেকেই মনে করেন এ নিশ্চয়ই ভিনগ্রহের প্রাণির কাজ!
তখন সন্ধে নেমেছিল শহরে। শেষ বিকেলের আলোটাও মুছে গিয়ে কালো অন্ধকারে আকাশের বুকে চিকচিক করতে শুরু করেছিল তারারা। আচমকাই সেই অন্ধকার কেটে আকাশ ভরে ওঠে গোলাপি আলোয়।
সেই গাঢ় গোলাপি আলোয় বদলে যায় রাতের আকাশের চেনা চেহারা। শহর থেকে বহু দূরদূরান্তের মানুষও স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলেন সেই আকাশের আলোর ছটা।
চমকে যান সকলে। এমন তো হতে পারেনা। সূর্য তো ঢলে পড়েছে অনেকক্ষণ। ফলে সূর্যের আলোর খেলাও এটা নয়। তাহলে কি ভিনগ্রহের প্রাণিরা এসে হাজির হল!
অনেকে শুধু একথা মনে মনেই ভাবেন না, প্রায় নিশ্চিতও হয়ে যান। অনেকেই মনে করেন ভিনগ্রহের কোনও যান থেকে ওই আজব আলো আকাশ ভরে দিয়েছে।
পরে অবশ্য পুরো বিষয়টা পরিস্কার হয়। কোনও ভিনগ্রহের যোগ এই আলোর সঙ্গে নেই। এটা হয়েছে গাঁজা চাষের জন্য। তবে এই গাঁজা চাষ সরকারি অনুমোদন নিয়েই হচ্ছিল।
একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা এই গাঁজা চাষ করছিল। পুরোটাই হয় গাঁজা পাতা নিয়ে গবেষণা এবং ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগানোর জন্য।
সংস্থার তরফে পরিস্কার করা হয় ওই গাঁজা চাষ করা হয় বিভিন্ন আলো দিয়ে একটি ঘেরা জায়গায়। নানা ধরনের আলোর প্রয়োগে দ্রুত গাঁজার ফলন হয়। পুরোটাই বৈজ্ঞানিকভাবে হয়।
তবে যে আলো ব্যবহার হয় তা সকালে খোলা থাকলেও বিকেল নামার পর তা ঢেকে ব্যবহার করা হয়। যাতে সেই আলো বাইরে বার হতে না পারে।
গত ২০ জুলাই তা করা হয়নি। ফলে তখন ব্যবহার হওয়া গোলাপি আলো ঠিকরে গিয়ে পড়ছিল আকাশে। আর তা থেকেই এই আলোর ছটা। ঘটনাটি ঘটে অস্ট্রেলিয়ার নর্থ ভিক্টোরিয়ায়।