পাথরের খাঁজে পাওয়া গেল বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো হৃদপিণ্ড, তাও আবার গোটা
বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো হৃদপিণ্ডের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা। যার বয়স শুনে অনেক মানুষ বিশ্বাসও করতে পারছেন না। কোন প্রাণির তাও জানালেন বিজ্ঞানীরা।
বিশ্বে এমন অনেক আবিষ্কার সামনে আসে যা ইতিহাস বদলে দেয়। মানুষের পুরনো ধারনা বদলে দেয়। তেমনই এক ঘটনা ঘটে গেল। একটি জীবাশ্ম উদ্ধার হল অস্ট্রেলিয়ার কিম্বারলি এলাকায়। এখানে একটি পাথরের খাঁজ থেকে এই জীবাশ্ম উদ্ধার করেছেন কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা।
জীবাশ্মটি পরীক্ষা করার পর দেখা গেছে জীবাশ্মটি একটি সম্পূর্ণ হৃদপিণ্ডের। হৃদপিণ্ডটি এমনভাবে উদ্ধার হয়েছে যে তার প্রতিটি অঙ্গ প্রস্তরীভূত হলেও স্পষ্ট। যার সফট টিস্যুর থ্রি ডি ইমেজ বানিয়ে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। এতটা সম্পূর্ণ একটি হৃদপিণ্ড পেয়ে উচ্ছ্বসিত তাঁরা।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এটি একটি মাছের হৃদপিণ্ড। যার চোয়াল ছিল। যেটির একটি শিরদাঁড়াও ছিল। মাছটির বয়স ৩৮০ মিলিয়ন বছর। অর্থাৎ ৩৮ কোটি বছর আগে মাছটি জলে ঘুরে বেড়াত। সেটির হৃদপিণ্ডই পাওয়া গেল।
এত পুরনো কোনও প্রাণির হৃদপিণ্ড এই প্রথম পাওয়া গেল। ফলে এটিই হল বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো হৃদপিণ্ড। যে মাছের এই হৃদপিণ্ড সেটি এখন অবলুপ্ত হয়ে গেছে।
তবে সেই মাছের শরীর সম্বন্ধে যে আন্দাজ বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন তাতে সেটির সঙ্গে এখন সমুদ্রে ঘুরে বেড়ানো আরও একটি মাছের অনেক মিল পাওয়া যাচ্ছে। হাঙরের সঙ্গে এই ৩৮ কোটি বছর আগের মাছটির মিল পাওয়া গিয়েছে।
৩৮ কোটি বছর আগের এমন ত্রিমাত্রিক হৃদপিণ্ড যে পাওয়া যেতে পারে তা ভাবতেই পারেননি বিজ্ঞানীরা। যা পাওয়ার পর তাঁরা অত্যন্ত আনন্দিত। ৩৮ কোটি বছর আগের এমন একটা সম্পূর্ণ হৃদপিণ্ড অনেক নতুন তথ্য দিতে পারবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।