১০ বছর সমুদ্রে ভেসে ৮ বছরের মেয়ের বার্তা এল তীরে, মেয়েটি এখন অষ্টাদশী
মেয়েটির বয়স ৮ থেকে ১৮-তে পৌঁছে গেল। আর সেই বালিকা থেকে তরুণী হয়ে ওঠার সময়টায় তাঁর জলে ভাসানো বার্তা দুলে বেড়াল সমুদ্রের ঢেউয়ের তালে তালে।
তাঁর যখন ৮ বছর বয়স তখন একটি কাগজের টুকরোতে বার্তা লিখে তিনি ভাসিয়ে দিয়েছিলেন সমুদ্রের জলে। একটা জল খাবার সাধারণ প্লাস্টিকের বোতলের মধ্যে পুরে দিয়েছিলেন কাগজের টুকরোটা। তারপর সেই বোতলটা তিনি ভাসিয়ে দিয়েছিলেন সমুদ্রে।
এরপর দিন কেটেছে, মাস কেটেছে, বছর ঘুরেছে। সেই বোতল সমুদ্রের ঢেউয়ের তালে তালে ভেসে বেড়িয়েছে অনন্ত সাগরের বুকে। কারও হাতে পড়েনি সে বার্তা।
কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ার ওয়ার্নামবুল সমুদ্রসৈকতে চলছিল সাফাইয়ের কাজ। সেই সময় জলের ধারে সেই বোতলটি দেখতে পান এক সাফাইকর্মী।
ওই মহিলা সাফাইকর্মী সেই প্লাস্টিকের বোতলটি তুলে দেখেন তার মধ্যে একটি কাগজের টুকরো রয়েছে। কৌতূহলে তিনি প্লাস্টিকের বোতলটি মাঝখান থেকে ভেঙে ফেলেন। তারপর কাগজটি বার করে দেখেন এক ৮ বছরের মেয়ে ওই বার্তাটি পাঠিয়েছিল।
যদিও খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনও বার্তা নয়। মেয়েটি লিখেছিল যিনি এই বার্তা পাবেন তাঁর সৌভাগ্য কামনা করে ওই বালিকা ও তার পরিবারের তরফ থেকে শুভেচ্ছা রইল। সেই কাগজে লেখা তারিখ থেকে স্পষ্ট যে ১০ বছর আগে সেটি বোতলে ভরে জলে ফেলা হয়েছিল।
জাপকান নামে ওই বালিকা এখন অষ্টাদশী তরুণী। তিনি জানতে পারেন যে তাঁর সেই ১০ বছর আগে ভিক্টোরিয়ার পোর্টল্যান্ডে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া বার্তা অবশেষে কেউ হাতে পেয়েছেন।