বছরে একবার গৃহবন্দি হন বাসিন্দারা, এলাকা চলে যায় কোটি কোটি কাঁকড়ার দখলে
বছরে এমনটা একবারই হয়। যখন হয় তখন স্থানীয়রা বাড়ি থেকে বার হতে পারেননা। পা রাখবেন কোথায়, কোটি কোটি কাঁকড়ার দখলে চলে যায় রাস্তাঘাট, ফুটপাথ, ঘাসজমি।
একটা গোটা দ্বীপের জনজীবনকে স্তব্ধ করে দেয় কাঁকড়ারা। এমনটা ভাবলেও অবাক লাগতে পারে। কিন্তু বছরের একটা সময় এ দ্বীপ জুড়ে থাকা স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় বার হতে পারেননা। সব কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। সকলে কার্যত দরজা বন্ধ করে বাড়িতেই আশ্রয় নেন।
এছাড়া উপায়ও নেই। কারণ রাস্তা তখন কাঁকড়াদের দখলে। গাঢ় লাল রংয়ের অগুন্তি কাঁকড়া রাস্তা, জমি, ফুটপাথ সব দখল করেছে। এমনই পরিস্থিতি যে গোটা দ্বীপটাতে এমন কোনও জায়গা থাকেনা যেখানে কাঁকড়া নেই।
১টা ২টো নয়, কোটি কোটি কাঁকড়া থিক থিক করে চারধারে। এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তা দখলে চলে যায় কাঁকড়াদের। যেদিকেই নজর যায় শুধু লাল আর লাল কাঁকড়া এগিয়ে চলেছে। ওই কোটি কোটি কাঁকড়া কিন্তু একই দিকে হাঁটতে থাকে।
বছরের ওই সময়টায় এই লাল কাঁকড়ারা ডিম পাড়ে। আর ডিম পাড়ার জন্য তারা সমুদ্রের একটি বিশেষ অংশকে বেছে নেয়। সেখানেই ফি বছর তারা ফিরে যায় ডিম পাড়ার জন্য।
সমুদ্রে ডিম পেড়ে তারপর তারা ক্রমে আবার ফিরে আসে। তখন আর তাদের কোনও উপদ্রব থাকেনা। তাদের এদিক ওদিক দেখা পাওয়া গেলেও তাতে জনজীবনে কোনও প্রভাব পড়েনা।
তবে ডিম পাড়তে যাওয়ার সময় কোটি কোটি কাঁকড়ার মিছিল প্রতিবছর একটা সময়ে এখানকার মানুষকে ঘরেই আটকে রাখে।
ভারত মহাসাগরের ওপর অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার জাভার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত একটি দ্বীপ। এই দ্বীপ প্রসিদ্ধই তার লাল কাঁকড়ার জন্য। তবে এই লাল কাঁকড়াদের সংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে একধরনের হলুদ পিঁপড়ে। কারণ এই লাল কাঁকড়ার একটা অংশ এই হলুদ পিঁপড়েরা সাফ করে দেয়। কারণ লাল কাঁকড়া তাদের বড় প্রিয় খাবার।