Feature

পাখিদের কাছে হেরে গিয়েছিল বিশাল সেনাবাহিনী, আজও সে এক ইতিহাস

পাখিদের কাছে হার মানতে হয়েছিল সেনাবাহিনীকে। এমন ঘটনাও ঘটেছে। যা এক ইতিহাস হয়ে আছে। আজও সেই ঘটনা মানুষের মনে বিস্ময় জাগায়।

সমস্যার শুরু চাষের জমি নিয়ে। যে অংশের চাষের জমি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত সেখানে সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হত গম। যতদূর চোখ যায় সেখানে গমের ক্ষেত। সেই গমের ক্ষেতে ঢুকে ফসল নষ্ট করে দিচ্ছিল এমু পাখির দল।

বড়সড় পাখি এমু। তায় আবার দলে অনেক। তাই চাষিরা তাদের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারছিলেননা। ফসল নষ্ট হচ্ছে। তাই ক্ষোভ বাড়তে থাকে। উপায় খুঁজতে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়।


অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম অংশে ক্যাম্পিয়ন জেলায় এমু পাখির তাণ্ডব নিয়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যে এমু পাখিদের হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে এমুদের প্রাণ কাড়া ছাড়া আর কিছু মাথায় আসেনি প্রশাসনিক কর্তাদের।

তাঁরা স্থির করেন ওই অঞ্চলের যথেষ্ট সংখ্যক এমু পাখিকে শেষ করে দিতে পারলে ফসল রক্ষা করা সম্ভব হবে। আর সে কাজের জন্য দায়িত্ব বর্তায় খোদ রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান আর্টিলারি-র ওপর।


সময়টা ১৯৩২ সাল। তখন অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনীর অংশ হল রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান আর্টিলারি। তারা কিছু এমু পাখির প্রাণও নেয়। কিন্তু তাতে কাজের কাজ তেমন কিছু হয়নি। বরং এমুদের দল আরও বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

ফলে তাদের খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর হয়ে যায় সেনাবাহিনীর কাছে। একটা বড় সময় চেষ্টা করেও সেনা ব্যর্থ হয় প্রত্যাশামত এমু নিধনে। কার্যত এমুদের কাছে হার মানে সেনা। এমুরা যেমন ছিল তেমনই রয়ে যায়।

বরং একসময় সেনা বিরত হয় এই এমু নিধন যজ্ঞ থেকে। এই ঘটনা ইতিহাসের পাতায় দ্যা গ্রেট এমু ওয়ার নামে পরিচিত। যেখানে পাখিদের কাছে হার মেনেছিল দেশের সেনাবাহিনী।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button