বিয়ের ৫৭ বছর পর বিয়ের ছবি হাতে পেলেন দম্পতি
বিয়ে হয়েছিল ১৯৬৭ সালে। আর এই ২০২৪ সালে এসে তাঁদের বিয়ের সেই ছবি হাতে পেলেন দম্পতি। সেটাও পেলেন কাকতালীয়ভাবে।
১৯৬৭ সালে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তারপর যৌবন কেটে এখন বার্ধক্যে পৌঁছে গেছেন তাঁরা। যখন তাঁদের বিয়ে হয়েছিল তাঁরা তখন থাকতেন স্কটল্যান্ডে। সেখানেই তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় একটি ভিডিও করা হয়েছিল। যেখানে তাঁদের বিয়ের নানা মুহুর্ত ধরা পড়েছিল।
সাধারণত বিয়ের ভিডিও বিয়ের পর এডিট হতে মাত্র কয়েকদিন লাগে। নবদম্পতি সহ পরিবার বন্ধু সকলে মিলে সে ভিডিও দেখার রেওয়াজ নতুন নয়। এ এক মন ভাল করা অভিজ্ঞতা।
ওই দম্পতিও সে সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই সময় প্রোজেক্টর ভাড়া করে বিয়ের ভিডিও দেখতে হত। তাঁরাও সেটাই করেছিলেন। যেটা ভুল হয়েছিল সেটা একবার দেখার পর ভিডিওটি নিজেদের কাছে রেখে দেওয়ার বদলে ভুল করে প্রোজেক্টরের সঙ্গে তা প্রোজেক্টর যাঁর কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল তাঁর কাছে চলে যায়। আর দম্পতিও বিয়ের পর চলে আসেন অস্ট্রেলিয়ায়। কারণ তাঁরা অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা। স্কটল্যান্ডের নন।
সে ভিডিও হাতে না পাওয়ার দুঃখ একটা সময় পর্যন্ত ছিল। তারপর তা আর পাওয়ার কোনও উপায় নেই বুঝে আস্তে আস্তে সময়ের সঙ্গে সেকথা ভুলেও যান।
অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের বাসিন্দা সেই কনে এখন ৭৭-এর বৃদ্ধা। তিনি একটি ফেসবুক গ্রুপে তাঁদের বিয়ের ছবি দেখে চমকে যান। বিষয়টি তাঁর স্বামীকেও জানান।
তাঁর স্বামী বিষয়টি দেখার পর তাঁরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন সোশ্যাল সাইটের মাধ্যমেই। এদিকে যিনি সেই ভিডিও তুলেছিলেন, তিনি এখন বৃদ্ধ। থাকেন স্কটল্যান্ডে।
তিনি তাঁর যত ভিডিও তুলেছিলেন সব কটিকে ডিভিডি বন্দি করতে শুরু করেছিলেন। তখনই তাঁর সংগ্রহে থাকা এই বিয়ের ভিডিওটি তিনি দেখতে পান।
কার ভিডিও তা জানতে সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছিল। সেই ছবি অস্ট্রেলিয়ায় বসে দেখতে পান দম্পতি। যোগাযোগের পর এই ভিডিওটির একটি ডিজিটাল ভার্সন তৈরি করে ওই দম্পতির কাছে পাঠিয়ে দেন বৃদ্ধ ফটোগ্রাফার।
বিয়ের ৫৭ বছর পর অবশেষে নিজেদের বিয়ের ছবি হাতে পেলেন ওই অস্ট্রেলীয় দম্পতি। খবরটি সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রকাশ করার পর তা অনেক সংবাদমাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়ে।