রাতে বেশি আলোর সামনে থাকা ভুল, সকালে ঠিক উল্টোটা, বলছেন গবেষকেরা
রাতে যত বেশি আলোর সামনে থাকা হবে ততই বিপদ বাড়বে। বরং যতটা কম আলো এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে কাটানো যায় ততই মঙ্গল। বলছেন গবেষকেরা।
সন্ধে নামার পর ঘরে ঘরে জ্বলে ওঠে আলো। শহর থেকে গ্রাম, রাস্তাঘাট আলোকিত করা হয় বৈদ্যুতিন আলোর রোশনাইতে। শহর বা মফঃস্বল এলাকায় অনেক জায়গাকে প্রচুর আলোয় আলো ঝলমল করে রাখা হয়। যেখানে আলো বেশি, সেখানে মানুষের সমাগমও নজর কাড়ে।
পর্যটকদের আকর্ষিত করতে অনেক জায়গা আলোয় আলোয় সেজে থাকে। এই অনেক আলো দেখতে ভাল হলেও তা কিন্তু মোটেও শরীরের জন্য ভাল নয়। অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা একটি গবেষণাপত্রে দাবি করেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সন্ধে নামার পর যদি কেউ অতিরিক্ত আলোকোজ্জ্বল জায়গায় থাকেন তাহলে তাঁর আয়ু হ্রাস হবে।
২১ থেকে ৩৪ শতাংশ জীবন সংশয় তৈরি হবে। কারণ কৃত্রিম আলো দেহের সারকেডিয়ান রিদমকে বিব্রত করে। যা শারীরিক, মানসিক এবং আচরণগত দিককে পরিবর্তন করে।
যার প্রভাবে নানা রোগও প্রকট হতে থাকে। হৃদরোগ, স্থূলতা, মধুমেহ-র মত রোগ থাবা বসায় শরীরে। এছাড়া মানসিক সমস্যাও কিছু ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পায়।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, ৪০ থেকে ৬৯ বছর বয়স্ক ৮৯ হাজার মানুষের দেহে লাইট সেন্সর লাগিয়ে এই পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই পরীক্ষার তথ্য পর্যালোচনা করেই তাঁরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।
রাত নামলে অতিরিক্ত আলোর সামনে থাকলে যেমন জীবন সংশয় তৈরি হয়, তেমনই সকালে সূর্যের আলোয় থাকলে ১৭ থেকে ৩৪ শতাংশ আয়ু বৃদ্ধি হয় বলে দাবি গবেষকদের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা