হাইস্পিড ইন্টারনেটের সঙ্গে মানুষের মোটা হয়ে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে, বলছে গবেষণা
উচ্চগতির ইন্টারনেট পরিষেবা এখন সময়ের চাহিদা। গতির দুনিয়ার এই প্রয়োজনের সঙ্গে মোটা হয়ে যাওয়ার সম্পর্ক খুঁজে পেলেন গবেষকেরা।
ইন্টারনেট এখন মানবজীবনের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া একটি পরিষেবা। বিশ্ববাসীর একটা বড় অংশই এখন ইন্টারনেট ছাড়া জীবন ভাবতেই পারেননা। শুধু ইন্টারনেট থাকলেই হবেনা, যা ইন্টারনেটে খুঁজছেন, তা নিমেষে সামনে এসে পড়বে, এতটুকু সময় নষ্ট না করে, এটাও তাঁদের চাহিদা।
এই চাহিদা পূরণ করতে জি বেড়ে চলেছে ইন্টারনেটে। ৩জি, ৪জি, ৫জি-র পর এবার ৬জি-র পালা। যা ভারতে খুব দ্রুত শুরু হয়ে যেতে পারে। জি একধাপ করে বেড়ে যাওয়া মানে কিন্তু ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি।
কিন্তু তার সঙ্গে মোটা হয়ে যাওয়ার সম্পর্ক কি! হাইস্পিড ইন্টারনেটের সঙ্গে কিন্তু মানুষের মোটা হতে থাকার সমস্যার যোগ খুঁজে পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক।
অস্ট্রেলিয়ায় এখন স্থূলতা এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে এই সমস্যা বেড়েই চলেছে। অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে এই মোটা হয়ে যাওয়ার সমস্যার একটি কারণ হিসাবে উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেটকে কাঠগড়ায় চাপাচ্ছেন মেলবোর্নের মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা।
তাঁরা মনে করছেন, উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট পরিষেবা মানুষকে আরও কুঁড়ে করে দিচ্ছে। সারাদিনের অধিকাংশ সময় অস্ট্রেলিয়ানরা ইন্টারনেটে কাটাচ্ছেন। ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র পরামর্শমত প্রাত্যহিক অঙ্গহেলনটাও তাঁরা করে উঠতে পারছেন না।
পরিশ্রমের কাজ এতটাই কমিয়ে দিয়েছেন সে দেশের মানুষ যে তাঁরা দ্রুত স্থূলতার শিকার হচ্ছেন। যা কার্যত হুহু করে বেড়ে চলেছে অস্ট্রেলিয়া জুড়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা