সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার সাঁতার কেটে মানুষকে পেঙ্গুইন ভাবল সম্রাট
এমনটাও যে হতে পারে তা বিজ্ঞানীরাও ভাবতে পারেননি। একটানা সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার সাঁতার কাটা কি মুখের কথা। কেন এমন সাঁতার তা অবশ্য জানা যায়নি।
সমুদ্রের অনেকটা দূর পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিল। সেখানেই একটা কিছু সাঁতার কেটে এগিয়ে আসছে এটা নজরে পড়ে ঢেউয়ের তালে সার্ফিং করতে ব্যস্ত একজনের। তিনি নজর করতে থাকেন। দেখেন ক্রমশ বড় হয়ে উঠছে সেটি।
এগিয়ে আসছে বিচের দিকেই। কি ওটা! তখনও পরিস্কার ছিলনা সেখানে উপস্থিত একাধিক সার্ফারের কাছে। সার্ফিংয়ের ভিজে পোশাকে এবার তাঁরা এক আজব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন।
দেখেন যা এগিয়ে এসেছে তা একটি অতিকায় চেহারার পেঙ্গুইন। পেঙ্গুইন কুলে নানা চেহারার পেঙ্গুইন রয়েছে। এরা হল সবচেয়ে বড় চেহারার পেঙ্গুইন। নাম এম্পেরার পেঙ্গুইন। সম্রাটের মত চেহারাই বটে।
সে জল থেকে উঠে সার্ফিং যাঁরা করছিলেন তাঁদের কাছে এসে বিন্দুমাত্র ভয় না করে তাঁদের সঙ্গে মিশে যায়। মানুষকে দেখে কোনও ভয় ডর নেই! সার্ফিং যাঁরা করছিলেন তাঁদের ধারনা তাঁদের পরনে সার্ফিংয়ের ভিজে পোশাক থাকায় পেঙ্গুইনটি তাঁদেরও পেঙ্গুইন বলেই মনে করেছিল। তাই তাঁদের এত কাছে এগিয়ে আসে।
অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত ডেনমার্ক। সেই ডেনমার্কের সমুদ্রতটেই এই এম্পেরার পেঙ্গুইনটির দেখা মিলেছে। দেখা যায় সে খুবই ক্লান্ত। এর কারণ একটানা সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার সাঁতার।
অ্যান্টার্কটিকা থেকে সাঁতার কেটে ডেনমার্ক সমুদ্রতট পর্যন্ত জলপথের দূরত্ব ওই সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটারের মতই। যা সে একটানা সাঁতরেছে। ফলে ক্লান্তি তো থাকবেই।
হয়তো তার অতিকায় চেহারার ফলে সে ওই পথটা অতিক্রম করতে সমর্থ হয়েছে। কেন অ্যান্টার্কটিকায় তাদের সংসার ছেড়ে এভাবে এই পেঙ্গুইনটি এত পরিশ্রম করে সাঁতার কেটে চলে এল তা পরিস্কার নয়। তবে এই পুরুষ পেঙ্গুইনটির সঠিক পরিচর্যা শুরু হয়েছে।