মাঝরাতে বিছানায় ওটা কে, ভয়ে ভাষাই ভুলে গেলেন মহিলা
স্বামীস্ত্রী বাইরে গিয়েছিলেন। ফিরতে মাঝরাত হয়ে যায়। ফিরে শোওয়ার ঘরে বিছানায় অন্য কাউকে দেখে ভয়ে অন্য ভাষায় চিৎকার শুরু করেন মহিলা।
গোপাল ভাঁড়ের কাহিনি যাঁরা পড়েছেন তাঁরা জানেন একবার গোপাল কীভাবে একজন কোথাকার বাসিন্দা তা তাকে রাগিয়ে জেনে নিয়েছিলেন। কারণ মানুষ রেগে গেলে বা ভয় পেলে তাঁর মাতৃভাষায় কথা বলতে থাকেন। বাকি ভাষা ভুলে যান।
এক্ষেত্রে ভয় পেয়ে এক মহিলা তাঁর জন্মগত ভাষায় কথা বলতে শুরু করেন। যা আবার বাকিদের বোধগম্য হয়না। কিন্তু তিনি এত ভয় পেলেন কেন? ঘটনা হল ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামী গিয়েছিলেন বাইরে। বাড়ি ফিরতে মাঝরাত হয়ে যায়।
বাড়ি ফিরে তাঁরা তাঁদের শোওয়ার ঘরে ঢুকে বিছানার দিকে তাকাতেই আঁতকে ওঠেন। বিছানায় ওটা কে! তাঁরা দেখেন তাঁদের বিছানায় দিব্যি বসে আছে একটি কোয়ালা ভাল্লুক।
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার রোজলিন পার্কের বাসিন্দা ওই দম্পতি বিছানায় কোয়ালা দেখে ভয় পেয়ে যান। ওই মহিলা আবার জন্মগত ভাবে ব্রাজিলীয়। তিনি দ্রুত কোয়ালাটিকে ধরার জন্য বিশেষজ্ঞদের ফোন করেন।
কিন্তু তিনি এতটাই ভীত ছিলেন যে ভয়ে ইংরাজিতে কথা বলতেই ভুলে যান। কথা বলতে থাকেন পর্তুগীজ ভাষায়। তিনি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, তিনি মোটেও পর্তুগীজে কথা বলেন না। কিন্তু তখন ভয়ে তিনি যেন ইংরাজি ভুলেই গিয়েছিলেন। কেবল পর্তুগীজই মনে পড়ছিল। প্রসঙ্গত ব্রাজিলে প্রধান ভাষাই পর্তুগীজ।
মহিলা যখন ফোনে তখন তাঁর স্বামী একটি কাপড় জোগাড় করে কোয়ালাটিকে ধরতে ব্যস্ত। কোয়ালাও এ ঘর ও ঘর ছুটছে। তিনিও তার পিছনে কাপড় নিয়ে ছুটছেন।
অবশেষে একটা জায়গা খোলা পেয়ে সেখান দিয়ে কোয়ালা ভাল্লুকটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে ওই বাড়িরই বাগানের একটি গাছে উঠে যায়। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন ওই দম্পতি।