গবেষণাগারে ক্যাঙ্গারু, বিরল প্রজাতির প্রাণি আর বিরল থাকবেনা, দাবি বিজ্ঞানীদের
বিরল প্রজাতির প্রাণি। তাদের ক্রমশ পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়া। আগামী দিনে সে সমস্যা হয়তো আর থাকবেনা বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণাগারে ক্যাঙ্গারু দেখাল আশার আলো।
বিরল প্রজাতির প্রাণির তালিকা নেহাত ছোট নয়। এরমধ্যে আবার অতি বিরলও অনেক রয়েছে। এমনও প্রাণি তালিকায় রয়েছে যাদের অনেক বছর দেখাই যায়নি। বোঝাই যাচ্ছেনা তারা আর পৃথিবীতে আছে, না নেই!
তবে এই অতি বিরল বা বিরল প্রজাতির সমস্যা হয়তো দূর হতে পারে। এমনই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। একটি এমন গবেষণা সামনে এসেছে যা আশার আলো উজ্জ্বল করেছে। আর সে গবেষণাকে আলো দেখিয়েছে ক্যাঙ্গারু।
মানুষের ক্ষেত্রে সন্তানের জন্ম নিয়ে সমস্যা থাকলে আইভিএফ পদ্ধতি প্রচলিত। যাকে বলা হয় ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন। এক্ষেত্রে সন্তান আসার সমস্যা থাকলে প্রথমে স্ত্রী গর্ভ থেকে একটি ডিম্বাণু সংগ্রহ করা হয়। এরপর পুরুষ দেহ থেকে নেওয়া একটি সক্রিয় শুক্রাণুর সঙ্গে তার মিলন ঘটিয়ে গবেষণাগারেই একটি প্রাণের সঞ্চার করা হয়।
একে বলা হয় এমব্রাইও পদ্ধতি। এতে যে প্রাণের সঞ্চার হয় সেটিকে ফের বিশেষ পদ্ধতিতে স্ত্রী গর্ভে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তা বড় হতে থাকে। তৈরি হয় এক মানবশিশু।
ঠিক এই পদ্ধতিতে এবার অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা গ্রে ক্যাঙ্গারুর জন্ম দিয়েছেন। এভাবে গবেষণাগারে এই ক্যাঙ্গারুর পূর্ণ ডিম তৈরি করে তা থেকে আইভিএফ পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া মেনে এক ক্যাঙ্গারুর জন্ম দিয়েছেন গবেষকেরা।
এই গবেষণার কথা প্রকাশিত হওয়ার পরই বিজ্ঞানী মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গবেষকদের মতে, এই পদ্ধতিতে যখন এই প্রথম কোনও ক্যাঙ্গারুর জন্ম হল তখন এই পদ্ধতি মেনে কোয়ালা বেয়ার, উমব্যাট, তাসমানিয়ান ডেভিল-এর মত বিভিন্ন বিরল প্রাণির জন্ম দেওয়া যেতে পারে।
একটি নয়, অনেক প্রাণির জন্ম দেওয়া যায়। ফলে আগামী দিনে বিরল প্রজাতির সমস্যা দূর হতে পারে। এই পদ্ধতি মেনে গবেষণাগারেই এই প্রাণিদের অনেক পূর্ণ ডিম তৈরি করে ফেলা সম্ভব হবে। আপাতত এই আশার আলোই দেখছেন বিজ্ঞানীরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা