লাফিয়ে বাড়ছে সাপের ছোবল, সাপের এমন আচরণের কারণ অত্যন্ত মর্মভেদী
লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে সাপে কাটার ঘটনা। আর তা বেড়েই চলেছে। এমন এর আগে কখনও হয়নি। কেন এমনটা হচ্ছে তার ব্যাখ্যাও মিলেছে।

অনেক বাড়ি সংলগ্ন জমিতে ঘুরছে সাপ। যখন তখন সাপের ছোবলের কবলে পড়তে হচ্ছে মানুষকে। এঁদের মধ্যে গত এক সপ্তাহেই ৭ জন হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি। এঁদের পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক। তবে তা ছাড়াও শতাধিক মানুষের সর্প দংশনের অভিজ্ঞতা হয়েছে।
১২৯ জন ডিসেম্বরে, ১২৮ জন জানুয়ারিতে সাপে কাটার শিকার হয়েছেন। ফেব্রুয়ারিতেও সর্প দংশনের ঘটনা একের পর এক সামনে আসছে। এটা ঘটছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে।
সেখানকার প্রশাসনকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হয়েছে। প্রশাসনের তরফে কুইন্সল্যান্ডের বাসিন্দাদের সতর্ক করে জানানো হয়েছে তাঁরা যেন সাপ দেখতে পেলে কখনওই তাকে হঠাতে, তার গায়ে হাত দিতে, তাকে এলাকা ছাড়া করতে বা তাকে মারতে না যান।
বরং সাপের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে দ্রুত সাপ ধরার সঙ্গে যুক্ত সংস্থায় খবর দিতে বলা হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রসঙ্গত অস্ট্রেলিয়ায় সাপ মারা আইনত দণ্ডনীয়।
অস্ট্রেলিয়ার এই অংশে বিশ্বের দ্বিতীয় অতি বিষধর সাপ ইস্টার্ন ব্রাউন স্নেক পাওয়া যায়। যেটা উল্লেখযোগ্য যে অস্ট্রেলিয়ায় সাপ পাওয়া গেলেও তাদের সঙ্গে মানুষের কোনও সংঘাত নেই। তারা মানুষকে ছোবলও তেমন মারে না।
২০০০ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় মাত্র ৩৫টি সাংঘাতিক সাপের ছোবলের ঘটনা সামনে এসেছিল। সেখানে এবার তা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞেরা এর কারণ জানাতে গিয়ে দাবি করেছেন, মানুষ যদি সাপের জায়গা দখল করতে থাকে তাহলে সাপ তো পাল্টা আঘাত হানবেই। তাঁদের মতে, মানুষই সাপের পুরনো বাসস্থানে বাড়িঘর তৈরি করতে গিয়ে সাপদের ভিটেছাড়া করছে। ফলে পাল্টা আঘাত হানতে সাপরা এখন নির্বিচারে এমন ছোবল শুরু করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা