শহরাঞ্চলে তাপপ্রবাহ নিয়ে হাড় হিম করা তথ্য, জানলে রাতের ঘুম উড়বে
তাপপ্রবাহ ক্রমশ বিশ্বজুড়েই বেড়ে চলেছে। শহরাঞ্চলে তাপপ্রবাহের জেরে এমন সব তথ্য সামনে আসছে যা কার্যত রাতের ঘুম উড়িয়ে দিতে পারে।

বিশ্ব উষ্ণায়ন পরিস্থিতি অতিদ্রুত এক ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। তাপপ্রবাহের ধারাবাহিকতা নিত্যদিন বেড়ে চলেছে। পারদও অস্বাভাবিক জায়গায় চড়ছে। গত ২০২৪ সালে খোদ কলকাতাই প্রথম বার ৪৩ ডিগ্রিতে পারদ দেখেছে।
এমন এক পরিস্থিতিতে একটি গবেষণা সামনে এসেছে। যা কার্যত রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারে শহরবাসীর। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের নানা পদক্ষেপ বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। সেই মানুষের তৈরি উষ্ণায়ন এখন মানুষের জীবন কাড়ছে।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণাপত্রে দেখা যাচ্ছে শহরবাসীরা বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে সবচেয়ে করুণ পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি প্রাণ যাচ্ছে শহরবাসীর।
এবারই অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে পারদ চড়েছে ৪৬.৪ ডিগ্রিতে। মেলবোর্নে এই উচ্চতা কখনও ছোঁয়নি পারদ। আবার ভিক্টোরিয়াতে টানা ১০ দিন ধরে অনেক জায়গায় ৪০ ডিগ্রির ওপর পারদ ঠায় দাঁড়িয়ে থেকেছে। যা কার্যত প্রাণ কেড়েছে মানুষের।
অস্বাভাবিক গরম সহ্য করতে পারছেনা অনেকের শরীর। যে ৫ দিন ভিক্টোরিয়াতে সবচেয়ে বেশি গরম ছিল, সে সময় সেখানে অতিরিক্ত ৩৭৪ জনের প্রাণ গেছে।
গবেষণায় এটাও জানানো হয়েছে শহরে বসবাসকারী কম রোজগারের জীবন কাটানো মানুষ বা যাঁরা বেশিদূর পড়াশোনা করতে পারেননি, অথবা যাঁরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা পান না, তাঁরা এই তাপপ্রবাহের সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণ যাওয়ার ঝুঁকির মুখে পড়েন।
গবেষণাপত্রে তাপপ্রবাহের সময় তা থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো আগে থেকেই তৈরি রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা