বিদেশ থেকে ফিরে লাগেজ খুলতেই বেরিয়ে এল ওরা, দেখে অজ্ঞান হওয়ার যোগাড় মহিলার
বিদেশে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। বেড়িয়ে বাড়ি ফেরার পর লাগেজ ব্যাগ খুলে মালপত্র বার করেন। ঠিক তখনই তিনি লক্ষ্য করলেন এক এক করে বেরিয়ে আসছে ওরা।
বিদেশে বেড়ানোর সুখের অনুভূতি, স্মৃতি তখনও মন প্রাণ জুড়ে রয়েছে। সবে ফিরেছেন দেশে নিজের বাড়িতে। এবার দৈনন্দিন জীবনে ফেরার পালা। তার আগে বেড়াতে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া স্যুটকেস ফাঁকা করার পালা।
রবিবারও ছিল। তাই স্যুটকেসটা খুলে মালপত্র বার করতে শুরু করেন তিনি। আর ঠিক তখনই তাঁর নজরে পড়ে ব্যাগের মধ্যে থেকে এক এক করে বেরিয়ে আসছে কালো চেহারার আতঙ্কগুলি।
এক এক করে বিছেগুলো স্যুটকেস থেকে বার হতে শুরু করে। তারপর ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। একটিই পূর্ণ চেহারার বিছে ছিল। বাকি ১৭টি বিছেই ছোট। ওই মহিলার ধারনা একটি মা এবং অন্যগুলি তার ছানা বিছে। ভয়ে চোখে অন্ধকার দেখেন ওই মহিলা।
ক্রোয়েশিয়ায় বেড়াতে গিয়েছিলেন অস্ট্রিয়ার বাসিন্দা ওই মহিলা। দ্রুত বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট দফতরে জানান। পরে ওই ১৮টি বিছেই উদ্ধার হয় ওই মহিলার বাড়ি থেকে।
সেগুলিকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। এগুলি অস্ট্রিয়াতেই রাখা যেত। কিন্তু যেহেতু সেগুলি ক্রোয়েশিয়া থেকে এসেছে তাই তাদের ক্রোয়েশিয়াতেই ফের পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ওই বিছেগুলির হুল থাকলেও সেগুলি প্রাণঘাতী ছিলনা। হুল যদি তারা মারতও, তাহলেও মৃত্যুর ভয় ছিলনা। হয়তো জ্বালা করত, যন্ত্রণা হত, ফুলে যেত জায়গাটা। লালও হয়ে যেতে পারত। তবে এটাই প্রথম নয়, গত মাসেই একইভাবে ক্রোয়েশিয়া থেকে বেরিয়ে আসার পর বিছের সন্ধান পান অন্য এক মহিলা।