জলের তলায় বেঞ্চ পাতা সাজানো বাগান, ডুব দিয়ে বেঞ্চে বসে জিরিয়েও নেওয়া যায়
বাগানে তো বেঞ্চ পাতাই থাকে। ঘাস, গাছে ভরা থাকে চারধার। তেমনই এক পার্ক যদি জলের তলায় থাকে। সেখানে ডুব দিয়ে অনেকে আবার জিরিয়েও নেন।
জলের তলায় দিব্যি বেঞ্চ পাতা। কেউ ডুব দিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ বসেও থাকতে পারেন। আশপাশটা বাগান। ডুবে থাকা বাগান। সেই বাগানে বসে থাকাটা উপভোগ করতে পারেন। কারণ এতো আর সাধারণ বাগানে বসে থাকা নয়। জলের তলায় বসে ডুবো বাগান উপভোগ করা।
বেঞ্চের পাশে আছে একটি ছোট সেতুও। কিন্তু জলের তলায় এতো আয়োজন কেন? এ প্রশ্ন মনে আসতেই পারে। আসলে এই বাগান সারাবছর জলের তলায় থাকেনা। থাকে গরমকালে।
যখন আশপাশের ছবির মত সুন্দর পাহাড়ি এলাকায় পাহাড়ের ওপর জমে থাকা বরফ গলে জল হয়ে নেমে আসে। নেমে আসে এই উপত্যকায়। তখন ক্রমে জল বাড়তে থাকে।
এটা হয় জুন মাসে। তখন পাহাড়ের বরফ গলা জলে পূর্ণ হয়ে যায় উপত্যকার অনেকটা অংশ। আর সেই সময় এই পার্ক হারিয়ে যায় জলের তলায়। গভীরতা পৌঁছয় সর্বাধিক ১২ মিটারে। এই জল কিন্তু সারাবছর থাকেনা। মাস ২ পর থেকেই ফের জলস্তর নেমে যায়। বেরিয়ে আসে বাগান।
যখন জল ভরে থাকে তখন এই সবুজ দিঘির সুন্দর স্বচ্ছ জলে সময় কাটানো ইউরোপের মানুষের জন্য একটা অন্যতম আকর্ষণ। অস্ট্রিয়ার এই সবুজ দিঘি বা গ্রুনার লেক বিখ্যাত তার এই অদ্ভুত জলের তলার বাগানের জন্য।
ট্রাগোস নামে একটি গ্রামের ধারেই এই বরফে ঢাকা পাহাড়ে ঘেরা উপত্যকা। দেখতে একদম ছবির মত সুন্দর। এখানে তাই ইউরোপের অনেকেই ছুটে আসেন ছুটি কাটাতে।
তবে পর্যটকরা জলের তলায় নেমে যেভাবে হইচই শুরু করেছিলেন তাতে প্রকৃতি নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাই জলের তলায় নেমে বাগান উপভোগে কিছুটা দাঁড়ি টানা হয়েছে ২০১৬ সালের পর থেকে।