অনিদ্রা থেকে মুক্তির সুলুকসন্ধান দিল আয়ুষ
কম ঘুম বা ঘুম না আসার সমস্যা অনেকের থাকে। যা ডেকে আনে নানা শারীরিক সমস্যা। সেই সমস্যা থেকে মুক্তির সুলুক সন্ধান দিল আয়ুষ মন্ত্রক।
নয়াদিল্লি : ঘুম আসেনা বা কম ঘুম হয়। এই সমস্যা নিয়ে বহু মানুষ চিকিৎসকের কাছেও পৌঁছে যান। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের প্রয়োজনে ঘুমের ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন চিকিৎসকেরা।
কিন্তু আয়ুষ মন্ত্রক বলছে ঘুম ঠিক করার সুলুকসন্ধান লুকিয়ে আছে প্রাচীন ভারতের পুঁথিতে। এ নিয়ে একটি গবেষণাও হয়েছে। গবেষণা থেকে যা পাওয়া গিয়েছে তা অত্যন্ত কার্যকরী বলে মনে করছে আয়ুষ মন্ত্রক।
মঙ্গলবার আয়ুষ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ‘অনিদ্রা’ নাম দিয়ে একটি গবেষণা সংঘটিত হয়। তাতে দেখা গেছে প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে লুকিয়ে আছে ঘুম ঠিক করার উপায়।
এই গবেষণায় রীতিমত পরীক্ষা চালিয়ে দেখা হয়েছে কার্যকারিতা। আর তাতে যা পাওয়া গিয়েছে তা হল শিরোধারা ও অশ্বগন্ধা তেলের মিশ্রণ দিয়ে শমন চিকিৎসায় দারুণভাবে ঘুমের সমস্যা মিটে যেতে পারে।
আয়ুষ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে তারা মনে করে ঘুম হল শরীর সুস্থ রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। আর এই ঘুমের সমস্যা রয়েছে সারা বিশ্বজুড়েই।
চিকিৎসকেরা অনেক ক্ষেত্রে অনিদ্রার সমস্যাকে ইনসমনিয়া রোগ বলেও ব্যাখ্যা করেন। যে সমস্যা সারা বিশ্বের। বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপ থেকেও এই অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয়।
আবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলেও ঘুমের সমস্যা হয়। আবার স্থূল শরীরের মানুষজনের অনেক সময় দেখা যায় ঘুমের সমস্যা তৈরি হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু জানাচ্ছে মানুষের শরীর দাঁড়িয়ে থাকে মানসিক, শারীরিক ও সামাজিক অবস্থার ওপর। সম্পূর্ণ সুস্থ বিষয়টি প্রায় হয় না। ঘুম হল এমন একটা জিনিস যা শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
দিনে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম সুস্থ জীবন কাটানোর জন্য দরকার। আর যাঁদের অনিদ্রার সমস্যা থাকে তাঁদের তা হয়না। ফলে সমস্যা দেখা দেয় শরীরে। আয়ুষ মন্ত্রক জানিয়েছে পরিবেশগত সমস্যা ও অনিয়মিত জীবনধারণ ক্রমশ অনিদ্রার সমস্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা