ছোট্ট টিপ, হাল্কা লিপস্টিক, কাজল আর সঙ্গে অবশ্যই নেলপালিশ। এই নিয়ে প্রাত্যহিক রূপসজ্জায় সেজে ওঠেন রমণীকুল। হাতে-পায়ের মোট ২০টি আঙুলকে রাঙিয়ে তোলাতেই সাজ হয়ে ওঠে সম্পূর্ণ। নেলপালিশ প্রিয় নারীদের জন্য তাই নানা দামের নানা রঙের নেলপালিশের কমতি নেই বাজারেও। গুণমান, ঔজ্জ্বল্য ও স্থায়িত্ব দেখতে গেলে পকেট খসিয়ে একটু দামি ব্র্যান্ডের নেলপালিশ কিনতে হয় ক্রেতাদের। সেইরকম একটি নেলপালিশ এবারে বাজারে আনল লস অ্যাঞ্জেলসের বিখ্যাত প্রসাধনী দ্রব্য প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘অ্যাজেচিউর’।
কালো কুচকুচে সেই নেলপালিশ বাজারে আসার আগেই হইচই ফেলে দিয়েছে নেলপালিশপ্রেমীদের মধ্যে। অ্যাজেচিউর-এর তৈরি কালো কুচকুচে নেলপালিশের ছোঁয়াতে নখের সৌন্দর্য আরও বেশি খোলতাই হবে বটে। কিন্তু তার দাম শুনে ছ্যাঁকা খেতে পারেন বহু নারী। বিশ্বের সবথেকে দামি সেই নেলপালিশের মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার মতো! এখন প্রশ্ন ওঠে, নেলপালিশ পড়তে গিয়ে এত টাকা কেনই বা খরচ করবেন ক্রেতারা? এই ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ নেলপালিশ আসলে রত্নের প্রলেপের সমতুল্য। ‘অ্যাজেচিউর’-এর নেলপালিশ নখে লাগানোর অর্থ হিরের প্রলেপ দিয়ে নিজেকে দ্যুতিময় করে তোলা!
প্রায় ২৬৭ ক্যারেটের বিরল কালো হিরে দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি সেই নেলপালিশ। এর আগে সোনার গুঁড়ো দিয়ে ভারতীয় মুদ্রায় ৮৩ লক্ষ টাকার নেলপালিশ বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল ‘অ্যাজেচিউর’। এবারে সোনা ছেড়ে হিরের তৈরি তাদের এই অমূল্য ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ নেলপালিশ কতটা বাজার জমাতে পারে সেটাই দেখার। তবে বাজারে আসার আগেই নেলপালিশটিকে ঘিরে যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে তাতে আর্থিক সঙ্গতির দিক থেকে এক শ্রেণির রমণীর ড্রেসিং টেবিলে এই নেলপালিশ যে শোভা পাবেই সে সম্বন্ধে অনেকটাই নিশ্চিত বিক্রেতারা। বাকি পৃথিবীকে আপাতত ছবি দেখেই সাধ মেটাতে হবে।