গত শুক্রবার ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৬টা ১০ মিনিট। তখনও পুনর্বাসন কেন্দ্রটিতে ভর্তি রোগীদের অনেকেরই ঘুম ভাঙেনি। সেইভাবে কর্মব্যস্ত হয়ে ওঠেননি চিকিৎসাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীরাও। আচমকাই সকলের ঘুমের পর্দা ছিঁড়ে যায় জোরালো বিপদঘণ্টির শব্দে। এই শব্দ আগুন লাগলে তবেই শুনতে পাওয়া যায়। নিমেষে আগুন লাগার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ৫৫ জন রোগীর মধ্যে। যাঁরা আদালতের নির্দেশে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর মাদকাসক্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার সকালে ভয়ানক আগুনের গ্রাসে পড়ে চিকিৎসাকেন্দ্রটি। আগুনের করাল গ্রাস থেকে রেহাই পাননি রোগীরা। পালাবার সময়টুকুও জোটেনি তাঁদের।
আগুন লাগার খবর সাথে সাথে জানানো হয় দমকলকে। ৩ ঘণ্টার আপ্রাণ চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন দমকলকর্মীরা। দমকলবাহিনী আগুনের কবল থেকে উদ্ধার করে ৩০ জন রোগীকে। তবে আরও ২৫ জন রোগীকে আগুনের গ্রাস থেকে বাঁচাতে পারেননি উদ্ধারকারীরা। আগুনের পুড়ে গুরুতরভাবে জখম হন আরও ৪ জন রোগী। তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই ড্রাগ পুনর্বাসন কেন্দ্রটিতে আগুন ধরে যায়। কাঠের তৈরি হওয়ায় সেই আগুন বিধ্বংসী চেহারা নেয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলাম আলিয়েভ। সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।