বৃহস্পতিবার খুলেছে কেদারনাথ মন্দিরের দরজা। তার ঠিক একদিন পর শুক্রবার সকালে খুলে গেল বদ্রীনাথ মন্দিরের মূল দ্বার। সাধারণ পুণ্যার্থীরা আগামী প্রায় ৬ মাস মন্দিরে শ্রীবিষ্ণুর বিগ্রহ দর্শন করতে পারবেন। এদিন সকালে রীতি মেনে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে প্রথমে বিগ্রহ নিয়ে আসা হয় মন্দিরে। তারপর রীতি মেনে পুজো করে সাধারণের দর্শনের জন্য খুলে যায় প্রবেশ দ্বার। প্রথম দিনেই ৭-৮ ঘণ্টার মধ্যে ১০ হাজারের ওপর পুণ্যার্থী বদ্রীনাথ দর্শন করেন।
শুক্রবার সকালে বদ্রীনাথকে জোশীমঠের নরসিংহ মন্দির থেকে বিশাল শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে নিয়ে আসা হয়। ভক্তরা পুরো রাস্তাটাই জয় বদ্রী বিশাল, জয় বদ্রী বিশাল স্লোগানে ভরিয়ে দেন। এই জোশীমঠেই পুরো শীতের সময়টা প্রায় ৬ মাস পূজিত হন বদ্রীনাথ। কারণ পাহাড়ের ওপর বদ্রীনাথ মন্দির সে সময় বন্ধ থাকে। বরফের জন্য সেখানে মানুষের পক্ষে যাওয়া মুশকিল হয়। এটাই রীতি, প্রতি বছরই শীতের সময়টা বদ্রীনাথ থাকেন জোশীমঠে।
শুক্রবার বদ্রীনাথ ধামের দরজা খুলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চারধাম যাত্রা পুরোদমে শুরু হয়ে গেল। আগেই খুলেছে চারধামের বাকি ৩ ধাম গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী ও কেদারনাথের দরজা। বদ্রীনাথ অর্থাৎ শ্রীবিষ্ণুর এই বদ্রীনাথ মন্দিরে আসা ভক্তরা কাছের মানা নামে জায়গাতেও ঘুরতে যান। এই মানা পৌরাণিক কাহিনির জন্য বিখ্যাত। তাছাড়া রয়েছে এখান থেকে নীলকণ্ঠ পাহাড়ের অপরূপ শোভা। মনে করা হয় ১ হাজার ২০০ বছর আগে আদি শঙ্করাচার্যের হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয় বদ্রীনাথ মন্দির। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা