এমন আগে কখনও ঘটেনি। এই প্রথম। বদ্রীনাথ মন্দিরে এবার প্রচুর ভক্তের ঢল নেমেছে। এত ভক্তের আগমন বদ্রীনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষকেও অবাক করেছে। চিন্তায়ও ফেলেছে। কারণ এত মানুষের আগমনের জেরে বদ্রীনাথ মন্দিরচত্বরে জঞ্জাল বাড়ছে। অপরিচ্ছন্ন হচ্ছে বদ্রীনাথ মন্দিরচত্বর।
সেইসঙ্গে জঞ্জালে ভরেছে অলকানন্দাও। নদীর জল ঠিকমত বইতেই পারছেনা ভক্তদের ফেলা জঞ্জালে। এই অবস্থায় সাফাই দরকার ছিল।
এই সাফাই অভিযানের জন্য ডাক পরে ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের মহিলা কর্মীদের। প্রায় ২০ জন হাজির হন বদ্রীনাথ মন্দির ও অলকানন্দা সাফাই করতে।
তাঁদের মতে, বদ্রীনাথ মন্দিরচত্বর সাফাই খুব কষ্টকর না হলেও অলকানন্দা নদী এতটাই দুর্গম জায়গা দিয়ে প্রবাহিত যে সেখানে সরাসরি নেমে পরিস্কার করা মুশকিল। তাই ব্রিজ থেকে মোটা দড়ি ঝুলিয়ে সেই দড়িতে ঝুলে তাঁরা অলকানন্দায় নামেন। তারপর ঝুলন্ত অবস্থায় অলকানন্দার জল থেকে তুলে আনা হয় জঞ্জালের স্তূপ। যাতে নদীর জল বিনাবাধায় নিজের গতিতে প্রবাহিত হতে পারে।
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার এই সাফাই হয়েছে বদ্রীনাথ মন্দির চত্বরে। উত্তরাখণ্ডের চার ধামের এক ধাম বদ্রীনাথে এ বছর বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থী হাজির হচ্ছেন। বদ্রীনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের ধারণা এবার দর্শন শেষে মোট দর্শনার্থীর যে সংখ্যাটা দাঁড়াবে তা রেকর্ড সৃষ্টি করবে।
বদ্রীনাথ মন্দির বছরে ৬ মাস খোলা থাকে। তখন পুণ্যার্থীরা দর্শনে হাজির হন এখানে। বাকি ৬ মাস বন্ধ থাকে মন্দিরের দরজা। তখন হিমালয়ের এই অংশ বরফে ঢাকা থাকে।
যে ৬ মাস মন্দির বন্ধ থাকে সেই সময়টা হল হেমন্ত, শীত ও বসন্ত কাল। এই সময়টায় হিমালয় জুড়েই তুষারপাত চলে। যারফলে মন্দির পর্যন্ত পৌঁছনোই সাধারণ মানুষের হাতের বাইরে থাকে। দীপাবলির পরই বন্ধ হয় বদ্রীনাথ মন্দিরের দরজা।
প্রতি বছর বদ্রীনাথ ও কেদারনাথের দরজা প্রায় একসঙ্গেই বন্ধ হয়। আবার পরের বছর প্রায় একসঙ্গেই খোলে। মাঝে হয়তো ১ দিনের এদিক ওদিক থাকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা