খুলে গেল বদ্রীনাথ মন্দিরের দরজা
খুলে গেল বদ্রীনাথ মন্দিরের দরজা। শুক্রবার কাকভোরে খোলে দরজা। যাবতীয় রীতি মেনেই প্রথম দিনের পুজো হয়।
চারধাম যাত্রার একটি ধাম অবশ্যই বদ্রীনাথ। এবার কেদারনাথ মন্দিরের দরজা খুলে গেছে গত ২৯ এপ্রিল। ৩০ এপ্রিল খোলার কথা ছিল বদ্রীনাথের দরজা। কেদারনাথ মন্দির খোলার পরদিনই বদ্রীনাথের দরজা খোলে। এবার করোনা ভাইরাসের কারণে সেই দিন পিছিয়ে ১৫ মে হয়ে যায়। সেইমত এদিন ভোর সাড়ে ৪টেয় খোলে বদ্রীনাথ মন্দিরের দরজা।
৬ মাস ঠান্ডার জন্য বন্ধ থাকে এই মন্দির। বাকি ৬ মাস খোলা থাকে। ভক্তরা হাজির হন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। তবে বদ্রীনাথ মন্দির গ্রীষ্মে খোলার দিন ভক্তদের যে ঢল প্রতি বছর নামে সেই ভক্ত সমাগম এদিন হয়নি। এমনটা বদ্রীনাথ মন্দিরের ইতিহাসে এই প্রথমবার হল।
শুক্রবার ভোরে ভক্ত সমাগম করোনার কারণে না হলেও রীতিনীতি অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়েছে। বদ্রীনাথ মন্দিরের দরজা খোলার সময় বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ হতে থাকে। তা হয়েছে। দরজা খোলার পর প্রভু বদ্রীবিশালের ওপর যে উলের কম্বল জড়ানো থাকে তা খুলে নেন প্রধান পুরোহিত। তারপর প্রভু বদ্রীবিশালকে পবিত্র জলে স্নান করানো হয়। এরপর হয় পুজো। যে সনাতনি প্রথা মেনে এতদিন পুজো হয়েছে তাই এদিনও হয়। পুরো মন্দির ফুলে ফুলে সাজানো হয়েছিল। সব আলো জ্বলে ওঠে মন্দিরের।
প্রথম প্রার্থনা হয় প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর পক্ষ থেকে। এদিন পুজোয় বিশ্ব থেকে করোনা মুছে দেওয়ার আর্জি ছিল দেবতার কাছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনা রুখতে যে সামাজিক দূরত্ব বা মুখে মাস্ক পরার কথা বলা হয়েছে তা এদিন অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়েছে। যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়াতে হয়। মুখে মাস্ক ছিল আবশ্যিক। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা