রবিবার খুলছে মন্দির, আগের দিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বদ্রীনাথ ফিরলেন নিজ ধামে
এও এক শত শত বছর ধরে চলে আসা প্রথা। আর তা এদিনও সেই সনাতনি রীতি মেনেই পালিত হল। এখন অপেক্ষা রবিবার ভোরের।
হিমালয়ের কোলে চারধাম যাত্রার অন্যতম বদ্রীনাথ মন্দির। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার এই মন্দির ভারতের অন্যতম প্রধান মন্দিরগুলির মধ্যে পড়ে।
প্রতি বছর শীতে যখন পুরো এলাকা বরফে ঢেকে যায় তখন বদ্রীনাথের মূর্তিকে জোশীমঠে নামিয়ে আনা হয়। সেখানেই ৬ মাস থাকে সেই মূর্তি। তারপর ফের এই মে মাসে মূর্তি মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
তারপর সেখানেই ৬ মাস পূজিত হন বদ্রীনাথ। এবার বদ্রীনাথ মন্দির খুলে যাচ্ছে রবিবার ভোরে। তার আগের দিন শনিবার নিয়ম মেনে জোশীমঠ থেকে বদ্রীনাথের মূর্তি নিয়ে ডোলি বার হয় বদ্রীনাথ মন্দিরের উদ্দেশে। সঙ্গে ছিলেন জোশীমঠের শঙ্করাচার্য এবং বদ্রীনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত রাওয়াল সহ অনেকে।
এই যাত্রাপথে বদ্রীনাথ কিন্তু একাই আসেন না। সঙ্গে নিয়ে আসেন তাঁর প্রধান সখা উদ্ধবকে। জোশীমঠ থেকে বদ্রীনাথ আসার পথে পাণ্ডবকেশ্বরের কাছে যোগবদ্রী মন্দির পড়ে। সেখানে রয়েছেন উদ্ধব মূর্তি। তাঁকে বদ্রীনাথের ডোলিতে শামিল করা হয়।
তারপর ২ ডোলি একসঙ্গে হনুমান চোটি হয়ে পৌঁছয় বদ্রীনাথ মন্দিরে। তবে শনিবার বদ্রীনাথ ও উদ্ধব মূর্তি মন্দিরে প্রবেশ করল না। তা রইল বদ্রীনাথে শঙ্করাচার্যের মঠে।
রবিবার ভোরে বদ্রীনাথ মন্দিরে প্রবেশ করবেন সনাতনি রীতি মেনে। উচ্চারিত হবে বৈদিক মন্ত্র। বদ্রীনাথের সঙ্গে মন্দিরে আসবেন উদ্ধব মূর্তিও।
রবিবার ভোর সওয়া ৬টায় বদ্রীনাথ মন্দিরের দরজা খুলে যাচ্ছে। প্রথম দিনেই দর্শনের উদ্দেশ্যে শনিবার থেকেই বদ্রীনাথে তিল ধারণের জায়গা নেই। — তথ্য ও চিত্র – কামাখ্যাপ্রসাদ লাহা